টানা তিনদিন চীনের হুবেই প্রদেশে প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা কমের দিকে থাকার পর আবারও বাড়ছে নতুন আক্রান্তের সংখ্যা। সোমবার নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন আরও প্রায় দুই হাজার। মারা গেছে অন্তত ১০০ জন। এ নিয়ে মৃতের সংখ্যা ১৭শ’ ছাড়িয়েছে। ফিলিপিন্স, জাপান, ফ্রান্সের পর এবার তাইওয়ানে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে একজন।
এদিকে জাপানের বন্দরে আটকে থাকা প্রমোদতরী ডায়মন্ড প্রিন্সেস থেকে প্রায় ৪শ’ মার্কিনিকে ফিরিয়ে নিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাস থেকে চীন ও বিশ্ববাসীর মুক্তির জন্য রোববার জেরুজালেমের ওয়েস্টার্ন ওয়ালে গণপ্রার্থনায় অংশ নেন কয়েক হাজার ইহুদি। আক্রান্তদের দ্রুত আরোগ্য কামনায় করা হয় বিশেষ প্রার্থনা।
তবে থেমে নেই মৃত্যুর মিছিল। করোনা ভাইরাসের উৎপত্তিস্থল চীনের উহানসহ হুবেই প্রদেশে এখনো নতুন করে আক্রান্ত হচ্ছেন অনেকে। ভাইরাস ঠেকাতে হুবেই প্রদেশে আরোপ করা হয়েছে কঠোর বিধিনিষেধ। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া ৬ কোটি বাসিন্দাকে বাড়িতে অবস্থানের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। ওষুধপত্র, হোটেল এবং খাবারের দোকান ছাড়া সবধরনের বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান বন্ধের পাশাপাশি অনির্দিষ্টকালের জন্য নিষিদ্ধ করা হয়েছে ব্যক্তিগত গাড়ির ব্যবহার। ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে উহানে নতুন করে মেডিক্যাল টিম পাঠিয়েছে সরকার।
চীনের পরপরই সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হয়েছে জাপানের ডকে আটকে থাকা প্রমোদতরী ডায়মন্ড প্রিন্সেসের যাত্রীরা। এখন পর্যন্ত সাড়ে তিনশ’র বেশি যাত্রী করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন হলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ। এরমধ্যেই রোববার প্রায় ৪শ’ মার্কিন নাগরিককে চার্টার্ড বিমানে করে ফিরিয়ে নিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। তবে ভাইরাসে আক্রান্ত ৪০ মার্কিনিকে জাপানের হাসপাতালেই চিকিৎসা দেয়া হবে বলে জানানো হয়।
এদিকে ১৪ দিনের কোয়ারান্টাইন শেষে চীনের উহান ফেরত ১শ’র বেশি জার্মান নাগরিককে বাড়ি ফেরার অনুমতি দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। তাদের কারও দেহে করোনা শনাক্ত হয়নি বলেও জানানো হয়। দু সপ্তাহের কোয়ারান্টাইন শেষে বাড়ি ফিরেছেন চীন ফেরত বেলজিয়ামের নাগরিকরাও।
হুবেই প্রদেশে টানা তিনদিন নতুন করে আক্রান্তের সংখ্যা কমলেও আবারও তা বেড়েছে। তবে চিকিৎসা শেষে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফেরাদের সংখ্যা আগের চেয়ে বেড়েছে বলে জানিয়েছে চীনা কর্তৃপক্ষ।