ক্যাসিনোকাণ্ডে গ্রেফতার রাজধানীর গেণ্ডারিয়া থানা আওয়ামী লীগ নেতা এনামুল ও রূপনের নারিন্দার বাড়ি থেকে টাকা ভর্তি ৫টি সিন্দুক, বিপুল পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা ও স্বর্ণালঙ্কার উদ্ধার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)। সোমবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) রাতে অভিযান চালিয়ে এসব জব্দ করা হয়।
র্যাব জানায়, এনামুল-রূপন ক্যাসিনো থেকে অবৈধভাবে এই সম্পদ অর্জন করেছে। তাদের সম্পদের আরো খোঁজ নিতে অনুসন্ধান চালানো হচ্ছে।
সিন্দুক, বস্তা ও কয়েকটি ব্যাগভর্তি এসব টাকার মালিক ক্যাসিনো মামলার আসামি তারা দুই ভাই। নারিন্দার লালমোহন সাহা স্ট্রিটের ছয় তলার বাড়িটির নিচতলা পুরোটিই যেন টাকার গোডাউন। এনামুল-রূপন র্যাবের হাতে আটক হওয়ার পর বাড়িটি ব্যবহার হতো তাদের অবৈধ টাকার গোডাউন হিসেবে। শুধু টাকা নয়, আছে বৈদেশিক মুদ্রা, এফডিআর, বিভিন্ন ব্যাংকে তাদের গচ্ছিত টাকার চেক বই।
সুনির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে সোমবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) মধ্যরাতে বাড়িটি ঘেরাও করে র্যাব। পরে নিচ তলার একটি ফ্ল্যাটের দরজা ভেঙে দুটি রুমে থাকা এসব সিন্দুক ও টাকার ব্যাগের সন্ধান পায় র্যাব। তারা জানান, এনামুল ও রূপনের পনোরোটি বাড়ির সন্ধান নিতে গিয়েই ধরা পড়ে এসব অবৈধ টাকা ও স্বর্ণালঙ্কার।
র্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সরোয়ার আলম বলেন, আমরা চেষ্টা করছি গুণতে, তবে ১৫ থেকে ২০ কোটি টাকার মতো হবে, গণনার পর সঠিকটা জানানো যাবে সবাইকে। তবে ৫ কোটি টাকার মতো এফডিআর পেয়েছি, যা দুই ভাইয়ের নামে করা আছে এবং অন্যান্য আলামত যেমন ঢাকা ওয়ান্ডারার্স ক্লাবে ব্যবহৃত যে সমস্ত ক্যাসিনোর চিজ রয়েছে সেটা পেয়েছি। সেখানে লেখা রয়েছে এ ক্লাবের নাম। আমরা এ থেকে প্রতীয়মান হচ্ছি যে ঢাকা ওয়ান্ডারার্স ক্লাব থেকে ক্যাসিনোর মাধ্যমে যে অবৈধভাবে তারা টাকাটা উপার্জন করেছে এটা সেই টাকা।
এ ঘটনায় স্থানীয় রাজনৈতিক কর্মীরা জড়িত কিনা তা খতিয়ে দেখছে র্যাব।
র্যাব-৩ সিইও লে. কর্নেল রফিকুল হাসান বলেন, আমরা অবশ্যই বের করতে পারবো এর সঙ্গে কেউ জড়িত আছে কিনা। তাদের এ বাড়ি ছাড়াও আরো যে বাড়ি আছে সেগুলোর ব্যাপারেও খোঁজখবর নেয়া হচ্ছে।
র্যাব গতবছরের ১৮ সেপ্টেম্বর থেকে ক্যাসিনো বিরোধী অভিযান পরিচালনা করে আসছে। গতবছর ২৪ সেপ্টেম্বর ক্যাসিনোবিরোধী অভিযানে গেণ্ডারিয়ার মুরগিটোলা এলাকা থেকে নগদ পাঁচ কোটি টাকা ও আট কেজি স্বর্ণালঙ্কারসহ আটক হন দুই ভাই এনামুল হক এনু ও রূপন ভুইয়া।