যুক্তরাষ্ট্রের টেনেসি অঙ্গরাজ্যে ভয়াবহ ঘূর্ণিঝড়ের আঘাতে অন্তত ২৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ৪০টির বেশি বসতবাড়ি। ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে বিভিন্ন এলাকা বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। স্থানীয় সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, আদালত, বিমানবন্দর বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়ের আঘাতে লণ্ডভণ্ড যুক্তরাষ্ট্রের টেনেসি অঙ্গরাজ্যের রাজধানী ন্যাশভিল। বেশ কিছু গাছপালা ভেঙে পড়ায় গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি রাস্তায় যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। শহরের বিভিন্ন এলাকা বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন অবস্থায় থাকায় স্থানীয়দের ভোগান্তি চরমে পৌঁছেছে।
একজন বলেন, ঝড়ের ভয়াবহ রূপ দেখলাম। আমার দোকানের ছাদ ভেঙে পড়েছে। একটা মেয়ে খুবই ব্যথা পেয়েছে। তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
আরেকজন বলেন, এ ঝড়ে যে বেঁচে যাব, সে আশাই করতে পারছিলাম না। জানালার কাঁচ ভেঙে পড়েছে। প্রচণ্ড বাতাসে ঘরের ভেতরের সবকিছু তছনছ হয়ে গেছে।
ঘূর্ণিঝড়ে ন্যাশভিল শহরের প্রায় অর্ধশত বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বাড়িঘরের দেয়াল ধসে, ছাদ ভেঙে পড়ে হতাহত হয়েছেন অনেক মানুষ। আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এখনও নিখোঁজ রয়েছেন কয়েকজন। তাদের উদ্ধারে অভিযান পরিচালনা করেন স্থানীয় জরুরি সহায়তাকারী দলের সদস্যরা। ঘূর্ণিঝড়ে ঐতিহাসিক একটি গির্জাও ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্তদের প্রতি সমবেদনা প্রকাশ করে সহায়তার আশ্বাস দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
ট্রাম্প বলেন, দুর্যোগে যারা স্বজন হারিয়েছেন, তাদের প্রতি গভীর শোক প্রকাশ করছি। অনেকেই আরও অনেকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। ক্ষতিগ্রস্ত অবকাঠামো পুনর্গঠনে সরকার আপনাদের সর্বোচ্চ সহযোগিতা করবে। আশা করি, শিগগিরই স্বাভাবিক হয়ে আসবে পরিস্থিতি।
এদিকে পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত স্থানীয় সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করেছে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ।