করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে দিল্লি, কেরালা, বিহার, মধ্যপ্রদেশ, এবং ছত্তিসগড়ের পর পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারও আজ (শনিবার) সমস্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধের নির্দেশ জারি করেছে।
মুখ্যমন্ত্রীর অফিস থেকে জারি করা নির্দেশে বলা হয়েছে, সোমবার থেকে আপাতত আগামি ৩১শে মার্চ পর্যন্ত সমস্ত সরকারি-বেসরকারি স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা, বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ থাকবে।
ভারতে ১৩ই মার্চ শুক্রবার পর্যন্ত করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ৮১। আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে দুইজন। অবশ্য এখন পর্যন্ত পশ্চিমবঙ্গে করোনাভাইরাসের কোনো রোগী পাওয়া গেছে বলে জানা যায়নি।
বিবিসির জানায়, রাজ্যে জনজীবন এখন পর্যন্ত স্বাভাবিক থাকলেও, করোনাভাইরাস নিয়ে জনমনে উদ্বেগ বাড়ছে।কলকাতায় প্রচুর মানুষকে এখন মুখে মাস্ক লাগিয়ে চলাফেরা করতে দেখা যাচ্ছে। “বাজার থেকে মাস্ক এবং হ্যান্ড স্যানিটাইজার হাওয়া হয়ে গেছে।”
কলকাতায় বিমানবন্দর এবং বড় দুটি রেল স্টেশন ছাড়াও বড় বড় অফিস ভবন এবং হোটেলের গেটে থার্মাল ইমেজিং ব্যবহার করে মানুষের শরীরের তাপমাত্রা মাপা হচ্ছে।
করোনাভাইরাস নিয়ে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ায় দিল্লি, কেরালা, মহারাষ্ট্র এবং কর্ণাটকে সিনেমা হল, বড় বড় শপিং মল বন্ধ করে দেয়া হচ্ছে। মহারাষ্ট্রের পাঁচটি শহরে সমস্ত সিনেমা হল এবং শপিং মল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
ভারতে খেলাধুলোর বিভিন্ন ইভেন্টও স্থগিত করা হয়েছে। আইপিএল ২৯শে মার্চ থেকে পিছিয়ে আপাতত ১৫ই এপ্রিল পর্যন্ত নেয়া হয়েছে।
গোয়ায় আজ (শনিবার) ইন্ডিয়ান সুপার লীগ (আইএসএল) ফুটবলের ফাইনাল মাঠে কোনো দর্শক ছাড়াই হচ্ছে।
এছাড়া, সফরকারী দক্ষিণ আফ্রিকার সাথে দুটো একদিনের আন্তর্জাতিক ম্যাচ (লক্ষ্মৌ এবং কলকাতায়) বাতিল করা হয়েছে। দক্ষিণ আফ্রিকা ক্রিকেটে দল দেশে ফিরে যাচ্ছে।