আজ থেকে মুজিববর্ষ

0
610
বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা রাষ্ট্রপতি বঙ্গবন্ধু  শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশত বার্ষিকী আজ। জাতীয়ভাবে উদযাপন করা হচ্ছে বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী। তাই ২০২০ সালের ১৭ মার্চ থেকে ২০২১ সালের ২৬ মার্চ পর্যন্ত ‘মুজিববর্ষ’ ঘোষণা করেছে সরকার।  সোমবার এক সংবাদ সম্মেলনে মুজিববর্ষের পরিবর্তিত কর্মসূচীতে জানানো হয়, মঙ্গলবার সীমিত আয়োজনের মধ্যে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে নিয়ে লেখা কবিতা পাঠ করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

এছাড়া লাল ও সবুজ রঙের আলোকসজ্জা, আতশবাজি আর আলোচনার মধ্য দিয়ে মুজিববর্ষ উদ্বোধন করা হয়। পরে জাতির উদ্দেশ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভাষণ দেন। এছাড়া বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রপ্রধান ও সরকার প্রধানদের রেকর্ড করা ভাষণও এদিনে প্রচার করা হয়।

দিনটি সরকারি ছুটির দিন। এবার বঙ্গবন্ধুর শততম জন্মবার্ষিকী হওয়ায় দিবসটিতে নতুন মাত্রা যুক্ত হয়েছে। সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে রাত আটটায় আতশবাজির প্রদর্শনীর মধ্য দিয়ে “মুক্তির মহানায়ক” শিরোনামে অনুষ্ঠানের উদ্বোধন হয়। এরপর টেলিভিশনে রেকর্ড করা সব অনুষ্ঠান সম্প্রচারিত হওয়ার কথা রয়েছে।

এ উপলক্ষে দেশ-বিদেশে বর্ণাঢ্য কর্মসূচির আয়োজন করা হয়। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মদিন শিশু দিবস হিসেবে পালন করা হলেও বিশ্বজুড়ে প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব ছড়িয়ে পড়ায় মুজিববর্ষের অনুষ্ঠানমালা সীমিত করা হয়েছে।

মুজিববর্ষের শুরুতে ১৭ মার্চ গোপালগঞ্জের টুঙ্গীপাড়ায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিতে শ্রদ্ধা জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ সময় তার সঙ্গে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতারাও অংশ নেন।

চলতি বছর ১০ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে ‘মুজিববর্ষের ক্ষণগণনা’র উদ্বোধন করা হয়। উৎসবমুখর পরিবেশে আনুষ্ঠানিকভাবে মুজিববর্ষের ক্ষণগণনা উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার ছোটবোন শেখ রেহানা।

দেশের সব ধর্মীয় উপাসনালয়ে বিশেষ প্রার্থনা অনুষ্ঠিত হবে এবং এতিম ও দুস্থদের মাঝে খাবার ও ত্রাণ বিতরণ করা হবে। সারা দেশে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে একই ধরনের কর্মসূচি পালন করা হবে।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়া গ্রামে ১৯২০ সালের ১৭ই মার্চ জন্মগ্রহণ করেন। ছয় ভাই-বোনের মধ্যে মুজিবুর রহমান ছিলেন তৃতীয়।