স্কুল কীভাবে সফল ব্যক্তিদের কর্মজীবনে প্রভাব ফেলেছিল?

0
761

অনুবাদ

স্কুল কীভাবে সফল ব্যক্তিদের কর্মজীবনে প্রভাব ফেলেছিল?

জনাথন সেল, যিনি ‘দি ইন্ডিপেন্ডেন্টে’র জন্য ১৫ বছর ধরে বিখ্যাত-ব্যক্তিদের সাক্ষাৎকার নিয়েছিলেন। তাতে তিনি আবিষ্কার করেন কিভাবে বিজয় ও ব্যর্থতা, অধ্যবসায় ও প্রতিকুলতা বিখ্যাত-ব্যক্তিদের কর্মজীবন গঠন করেছিল।                    ভাষা রূপান্তর- আবির ফারুক

তাদের মধ্যে একজন বলল, সে শুধু বিশ্ববিদ্যালয়ের অংশ ছিল না, যদিও তার ও-লেভেলে গণিত ছিল, কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয় তার এক্সিবিশন গ্রহণ করেনি ছয়বার চেষ্টার পরও। মাত্র দুজন ডিরেক্টর বিশ্ববিদ্যালয়ের এ ধরনের চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করে ছিল; বেমবার গাচুইনি প্রাতিষ্ঠানিকভাবে তার কাজ গুছিয়ে নিয়েছিল, জেরেমি প্যাক্সম্যান গাণিতিকভাবে সব শেষ করেছিলেন, তারা দু’জনেই দেখিয়েছেন, স্কুল এবং বিশ্ববিদ্যালয়ে দ্বিতীয় সুযোগ থাকা সম্ভব।

মন্দ হোক বা ভাল হোক, এখানে সবসময় একটি যুগসন্ধিক্ষণ থাকে। অভিনেতা টম কন্টি স্কুল ত্যাগের পর এমন একটি মুহুর্ত এল, এতে তিনি জীবনকে নতুন নির্দেশনায় নিয়ে গেলেন। গানের কোর্সে ভর্তি হবার ইচ্ছা নিয়ে তিনি বারান্ধায় হাঁটছিলেন, এমন সময় ড্রামা বিভাগের চিহ্ন দেখে সিদ্ধান্ত পরিবর্তন ড্রামা বিভাগেই ভর্তি হয়ে গেলেন। এটি তার জীবনকে নাটকীয়ভাবে পরিবর্তন করে দেয়।

প্যাডি আশডাউন বিশেষায়িত নৌ বিভাগে লিবারেল ডেমোক্রেসের নেতার থাকার সময়ের চেয়ে কঠোর সময় ব্যয় করেছেন। আমি এটাকে জীবন পরিবর্তনকারী মুহুর্ত বলব না। কিন্তু তার প্রথম দ্বন্দ্বটা ছিল তার প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অতি-কঠোর হেড মিসট্রেস এর সাথে, তাঁর নির্দেশ মত তিনি সবকিছু পালন করতেন। তিনি তাকে স্টেশনারীর আলমিরার তাকে বন্ধী করে রেখে চলে গিয়েছেন, ম্যাডাম হয়ত ভেবেছিল, সে ভাল পথে পা বাড়ায়নি।

সৃজনশীল মানুষগুলো কিভাবে তাদের সৃজনশীলতার বিকাশ ঘটিয়েছিল? অভিনেতা, গায়ক, খেলোয়াড়: কারা বা কোন জিনিসটা তাদের জীবনে শিখা প্রজ্বলিত করেছিল? প্রচারক, উদ্যোক্তা, এবং বৈজ্ঞানিক: কারা তাদের সামনের দিকে টেনে নিয়ে গিয়েছিল? ঔষধ, কমেডিয়ান, অভিযানকারী,  পরিচালক; কে তাদের চাবি ঘুরিয়ে দিল ঝলক বের করার জন্য?

আমরা সেটা জানতে পারিনি, আমরা সেরকমও নয়, কিন্তু আমরা যেভাবে আছি কিংবা যেটা করি তাতে স্কুলের গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা রয়েছে। প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক যারা বিখ্যাত মনীষীদের দ্বারা আমাদের প্রেরণা যুগিয়েছেন এবং ভয়ংকর গণিতের শিক্ষক যারা আমাদের সূত্রের মত আতংকিত করেছেন সবসময়। এমনকি আমরা এসব শিক্ষকের বিরুদ্ধে কোন প্রতিক্রিয়া দেখালে সাথে সাথে তারা আমাদের মারধর করত।

“আপনি পুরো জীবনের সাথে স্কুল জীবনটাকে নিয়ে যেতে পারবেন’’ লেখক রাইট ফোগেল আমাকে এ কথা বলেছেন। আমার স্কুল জীবন আমাকে এখনো প্রাণবন্ত করে। এমন একটি প্রাণবন্ত ক্ষণ হচ্ছে বার বছর বয়সে। তার ক্লামমেইটের আক্রমণ হতে তার মায়ের নারীবাদের উপর নতুন বইগুলো রক্ষা করতে গিয়ে। এটি আশ্চর্যের বিষয় নয় যে, সেদিন সেই অস্থিরচিত্ত মেয়েটিও কাঁদতে কাঁদতে বাড়ি গিয়েছিল। তবে এটা অদ্ভুত নয় সেই মেয়েটিও বই লিখেছিল লাইফ আফটার বার্থ, কাপলস এসব নামে।

১৫ বছর আগে, আমি যখন নিয়োজিত ছিলাম সাক্ষাৎকার সিরিজের কাজে, প্রধানত দি ইন্ডিপেন্ডেন্টের জন্য স্কুল জীবনের স্মৃতির উপর, যেখানে ছিল আর্ট স্কুল, ড্রামা স্কুল এবং বিশ্ববিদ্যালয়।

সেসব স্মৃতি লিখতে গিয়ে আমি বৈচিত্র্য অভিজ্ঞতার সম্মুখিন হয়েছি তাদের বেড়ে উঠা ও পেশা গ্রহণের ক্ষেত্রে কিছু ঘটনা একদমই ভিন্ন। অভিনেত্রী জিন মার্শ স্মৃতিচারণ করে বলে, যে ছোট্ট মেয়েটি ক্লাসে তার পাশে বসেছিল সে তখনই বিমাানাক্রণে মারা গিয়েছিল।

রবার্ট উইনসটন তার নম্বরের কারণে ফর্ম অডার নিতে সমস্যা হলে তার মাকে সে স্বীকার করে, সে কখনও ১ বা ২ এর অধিক নম্বর পাই না। প্যাথক্যাশ স্কুলের প্রথম দিনে দু’বার ঘরে চলে এসেছিল।

ড্রাগন জেমস কান শাস্তির ভয়ে বিরতির সময় তার বাবার দোকান থেকে লেদারের জ্যাকেট পরে আসত এবং তাতে একধরনের চিহ্ন দিয়ে রাখত যেটা সর্ম্পকে তার বাবাও জানত না। টয়া উইলকক্স কিছু মানুষদের মধ্যে এমন একজন  যারা মনে করত  স্কুলের প্রথম দিনই শেষ দিন। তারা বুঝতে পারতো না তারা সেদিন ফিরে আসবে এবং পারদিন আবার যাবে, এভাবে…।

এই ব্যক্তিগুলো কিভাবে তাদের শিশুকাল ও কৈশোরকাল অতিক্রম করেছিল? তারা শেষ পর্যন্ত যে কাজগুলো করেছিল তাতে কি একাডেমিক পারফরমেন্স কোন তাৎপর্য বহন করে? তাদের সফলতার বীজ কোথায় রোপন করা ছিল?

সাক্ষাৎকার গ্রহণ করার সময়ে তাদের ব্যক্তিগত কথা ও প্রকাশিত কথায় উঠে আসে ঘটনার অন্তর্দৃষ্টি। এটা আমাদের প্রশ্ন করার পরিসর তৈরি করে দেয়। কোন স্ফুলিঙ্গটা তাদের জ্বলে উঠতে সাহায্য করেছিল? তারা শিক্ষক দ্বারা তৈরি করা না শিক্ষক দ্বারা বন্দী? তাদের উত্তর আমাদের কিছু পথ, নমুনা এবং উদাহরণ তৈরি করে দেয়।

তাদের মধ্যে কেউ কেউ প্রাথমিক অবস্থায় মেধার পরিচয় দিয়েছিল। সিমন সামা এমন মেধার অধিকারী ছিল যে তার পিতামাতা তার বন্ধুদের সিমন সামার মেধার কথা বলে বেড়াত। এ কারণে তিনি তার পিতামাতার প্রতি ক্ষুব্ধ ছিলো। যার জন্য এক সময় সে কথা বলতে অস্বীকার করত এবং নিজেকে মূক হিসেবে পরিচিত করেছিল। ঔপন্যাসিক মার্গারেট ফস্টার সম্পর্কে তার প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক দ্বৈববাণী করেছিল, বড় হয়ে তুমি লেখক হবে।

আবার অনেকে নিজেদের এ ধরনের সমস্যার বাইরে ছিল। একজন শিক্ষার্থী দোকানে চুরির অপরাধে বরখাস্ত হয়েছিল (ক্ল্যারি বারডিন), যতদিন না সে বিশ্ববিদ্যালয়ে ইউনিয়ন সভাপতি এবং অপেশাদার জকি হিসেবে সাফল্য পেয়েছিল।

শিক্ষা কিছু সাক্ষাৎকারদাতাকে মনোমুগ্ধকর জীবন যাপনের সুযোগ করে দিয়েছিল। চেরিস পিটেন হংকং এর শেষ গভর্নর হওয়ার পরে বিবিসি ট্রাস্টের চেয়ারম্যান হয়েছিল। গুয়েন্তানামো বে’মত স্কুলে বন্দী কাটানোর পরেও মোয়াজ্জেম বেগ এটার জন্য স্কুলকে দায়ী করে না।

অনেক সময় আমাদের দেশে সৃজনশীল ও আকর্ষণীয় ব্যক্তিদের ক্লাসের প্রথম সারিতে খুঁজে পাওয়া যায়। যেমন মেলভিন ব্রাগ। সবাই এ রকম হয় না। তারা নীচে ছিল অথবা সবকিছুতে ছিল না, তারা কিছু করতে গেলেই কর্তৃপক্ষ স্বার্থ খুঁজতে থাকে। অন্তত একটি রিপোর্ট কার্ড যেটা রকেট বিজ্ঞানী হতে দরকার হয় না।

বিলি ব্রাগ এবং ডেভিড বেইলিকে তাদের বস ফোর্ড ডাগেনহাম এর প্রোডাক্টশন লাইন এবং রাস্তা খননের দিকে মনোযোগ দিতে বলতেন। হেলেন শারমানকে তার শিক্ষক তাকে লক্ষ্যহীন বলত। (অথচ তিনিই বিট্রেনের প্রথম নারী মহাকাশচারী, একজন প্রকৃত রকেট বিজ্ঞানী) এডওয়ার্ড ফক্স এর পিতা তার এক অভিনেতা বন্ধু দ্বারা বলেছিল, তার ছেলে কখনো অভিনয়ে পেশাদার হতে পারবেনা।

তাদের এই সুপ্ত মেধার বিকাশে কিছু সফল এবং ব্যর্থ ঘটনা তাড়না হিসেবে কাজ করেছে। যুবক স্টেভ রেডগ্রেসের হাত যে বড় ছিল তা তার শিক্ষক লক্ষ্য করে ছিল। তারপর, বলল ভবিষ্যতে তুমি বড় শরীরের অধিকারী হবে।এটা তখনই দরকার হবে যখন ‘স্কুল রয়িং এইট’ এর জন্য স্কুল লোক খুঁজবে। ১৯৮৮ সালে অলম্পিকের জন্য এ রকম একটি দল গঠন করেছিল শিক্ষকদের নিয়ে।

চেরিস প্যাকম্যানকে তার জুনিয়র স্কুলের শিক্ষক ‘ব্লু পিটার’ লেখার জন্য ডারফোর্ড ওযার্বলার জায়গাটি দেখতে বলেছিল এবং ঐ জায়গা দেখার পর থেকে চেরিস আজীবন সেখানে সিনেমার শুট করেছে।

আরেকটি অপ্রত্যাশিত সাফল্য; প্রশ্নপত্রের নির্দেশনা ভুল পাঠ করার কারণে টেরি জোনস এর এ-লেভেল খারাপ হওয়ায় তার পছন্দের বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে পারেনি। এরপরে সে মিশেল পালিন এর সাথে সাক্ষাৎ করে এবং তার সাথে টিম করে, মিশেল পালিনের সহকারী হিসেবে কাজ করে।

জীবনের এই বর্ণিল পথে চলার সাথে স্কুলের খাবারের মিল রয়েছে। একসময় খুব পুষ্টিকর, অন্য সময় ডাস্টবিনের ময়লার চেয়েও খারাপ। মাইলিনি কøাচ ছিলেন অত্যন্ত কৌশলি। সে এমন এক স্কুলে যেত সেখানে মাথা উঁচু করে থাকতে হলে নিজের ঘোড়া নিয়ে স্কুলে যেত হত। কিন্তু তিনি তা করতেন না। তিনি এক ধরনের কোর্ট কিনেন যাতে করে মাথা উঁচু করে থাকা যেত। বিজ্ঞান-ঘৃণ্য কাথি সাইকেস শিক্ষকের উপদেশ মনোযোগ দিয়ে শুনতেন। শিক্ষক বলতেন ও-লেভেলে পিজ্ক্সি ছেড়ে না দিতে। সে এখন ব্রডকাস্টার এবং ব্রিস্টল বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞান ও সমাজের প্রভাষক। পাওলা রেডক্লিফ ট্রেনিং করে অনেক বেশি সময় ব্যয় করেছেন যতটা একজন স্টুডেন্ট লেখাপড়া করে ব্যয় করে না। সে এখনো নিয়মিত লেকচার শুনতে যায়, এ কাজে সে বরাবরই প্রথম থাকে।  খারাপ ছাত্র; যারা কোন যোগ্যতা অর্জন না করেই স্কুল ত্যাগ করে; অনেক পিতামাতা তাদের বাড়ির কাজসহ অনেক অনুনয় বিনয় করে ফিরিয়ে আনতে চেষ্টা করে।

বালক অবস্থায়; চার্লস ডিকেন্স স্কুল থেকে বিতাড়িত হয়ে কারখানায় বোতলের চিপ লাগানো কাজ নেয়। যখন তার পরিবারের অর্থনৈতিক অবস্থা ভালো হলে আবার পড়ালেখায় ফিরে এসে পলিটিক্যাল রিপোর্টার হয়। এখানে সে তার মেধার সর্বোচ্চ ব্যবহার করে শিখরে উঠে আসে। চার্লস ডিকেন্সের ক্ষেত্রে এটা মেধার অপচয় হত যদি না সে উপন্যাস লেখায় না জড়াত। ভাগ্যক্রমে সে আমাদের স্কুজি, আর্টফুল ডসার এবং পিপ দিয়েছে। আমাদের জীবনে অথবা আমাদের সন্তানদের ক্ষেত্রে ফিরে আসার এই পথটা না থাকত তবে আমরা বোতলের- লেভেলকার থেকে পলিটিক্যাল রিপোর্টার থেকে একজন ওপন্যাসিক এই বর্ণিল সাঁজটা হয়ত পেতাম না।

অভিভাবকদের জন্য বলছি; খাবার এবং পড়ালেখার ক্ষেত্রে, খাবার শিশুদের জোর করে খাওয়ালে শিশুরা শেষ পর্যন্ত কান্নায় তা শেষ করে। প্রাথমিকভাবে এটা সফল মনে হলেও দীর্ঘমেয়াদে এটা হয় সব বিড়ালকে এক সংগে রাখার মত। ‘বাঘের মা’ তত্ত্বটি হল- শিশু যারা রসায়নে নোবেল জিতার আগে স্কুল তাকে ত্যাগ করে, যেমন বাঘের বাচ্চাদের পাহাড়ের পাদদেশে রেখে আসে যাতে সে ভালুক দ্বারা আক্রান্ত হয়। (স্বীকার করছি আমি ঐ বইটি পড়িনি।) আমার মনে হয় এটা ‘বাঘের মা’ তত্ত্বটি কেবল বাঘের ক্ষেত্রে দরকার।

সবচেয়ে ভরসা জাগানো গল্পটা এসেছে গিটারের রাণী ব্রিয়ান মে’র কাছ থেকে। তার পিতা খুবই চিন্তিত ছিল, যখন সে স্কুল ও বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা সফলভাবে শেষ করার পর তার পিএইচডি-ও শেষ করে ছিল সৌরজগত বহির্ভূত কণার উপরে। ঠিক এই সময়ে হঠাৎ ঘোষণা দেয় সে থিসিস ও অর্থনৈতিক নিরাপত্তা ছিন্ন করেছে একটি ব্যান্ডে যোগ দেবার কারণে।

এই পাঠ থেকে একটি শিক্ষণীয় বিষয় হল শিশুরা তাদের জীবন এবং পেশার জন্য যা করেছে সেই ক্ষেত্রে অভিভাবকরা অনেক পেছনে পড়ে থাকে। অবশ্যই এটা নয় যে, আমরা চার বছরের একটা বাচ্চাকে মোটরওয়েজ খেলতে দিতে পারি। বরং আমরা তাদের বিশ বছর সময় দিতে পারি তাদের সাহসী পদযাত্রায়।

বেরিটের একটি আনন্দময় সময় হল, সিনক্লেয়ার লুয়িজের ১৯২২ সালের উপন্যাসটি যেটিতে একজন সফল আমেরিকান কনফরমিস্ট এই ফাঁদ থেকে বের হওয়ার চেষ্টা করেছিলেন। যখন তার ছেলে কলেজ জীবনে একজন প্রকৌশলি হয়ে যায়। বিপরীত দিকে আরো একটি উপন্যাস লেখা হয় যারা পিতামাতাকে আতংকিত করেছিল যারা প্রকৌশলির চাকরি ছেড়ে দেয় বিশ্ববিদ্যালয়ে চাকুরী করার জন্য। যা হোক, যুবকরা যখন নতুন ব্যান্ড গড়ে তুলে তখন মনে রাখতে হবে তারা গিটার বাজিয়ে জীবন ধারণ করতে চায়। ব্রিয়ান মে হয়ত রকেট বিজ্ঞানী হিসেবে সফল হতে পারেনি। তার অভিভাবকরা তার যে যোগ্যতার উপর জোর দিয়েছিল তাও হয়ত সঠিক পথ।

দখিনা:৩৯

আবির ফারুক : অনুবাদক, শিক্ষার্থী- চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়।