নিউ ইয়র্কের ফ্ল্যাটে বাংলাদেশি রাইড শেয়ারিং কোম্পানি পাঠাও’য়ের সহপ্রতিষ্ঠাতার খণ্ড-বিখণ্ড লাশ
রাইড শেয়ারিং সার্ভিস পাঠাও এর অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা ফাহিম সালেহ‘র খণ্ড–বিখণ্ড মরদেহ পাওয়া গেছে নিউ ইয়র্কের বিলাসবহুল ফাহিম সালেহ‘র মালিকানাধীন অ্যাপার্টমেন্টে।
নিউ ইয়র্কের পুলিশ বলছে, স্থানীয় সময় ১৪ জুলাই মঙ্গলবার বিকেলে সালেহ’র খণ্ড-বিখন্ড মরদেহ পাওয়া যায়। ফাহিম সালেহ’র শরীরের বিভিন্ন অংশ অ্যাপার্টমেন্টে ছড়ানো ছিটানো ছিল এবং কিছু অংশ একটি ব্যাগে ঢুকিয়ে রাখা হয়েছিল। এ সময় তার মরদেহের পাশে একটি যান্ত্রিক করাত পাওয়া যায়। পুলিশ ধারণা করছে, পেশাদার খুনিরা এই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে।
সালেহ’র বোনকে উদ্ধৃত করে নিউইয়র্ক টাইমস পত্রিকা লিখেছে, নৃশংস এই হত্যাকাণ্ড সম্পর্কে প্রথমে জানতে পারে ফাহিম সালেহ’র বোন।নিউইয়র্ক টাইমস বলছে, মঙ্গলবার সারাদিন ফাহিম সালেহ’র সাথে কোন যোগাযোগ না হওয়ায় বিকেল ৩:৩০ মিনিটে সপ্তম তলায় তার সাথে কথা বলতে যান। সেখানে গিয়ে তার বোন ফাহিম সালেহ’র খণ্ড-বিখন্ড মরদেহ দেখতে পান।
পুলিশকে উদ্ধৃত করে নিউইয়র্ক টাইমস বলেছে, অ্যাপার্টমেন্টের নিরাপত্তা ক্যামেরায় দেখা গেছে কালো স্যুট এবং কালো মাস্ক পরা একজন ব্যক্তির সাথে একই লিফটে প্রবেশ করেন ফাহিম সালেহ। লিফট ফাহিম সালেহ’র অ্যাপার্টমেন্টের সামনে দাঁড়ালে দুজনেই সেখান থেকে বের হয়ে যান। এরপর ফাহিম সালেহ তার অ্যাপার্টমেন্টে প্রবেশ করেন। তখন সেই ব্যক্তি ফাহিম সালেহকে অনুসরণ করে। পুলিশ বলছে, এরপর দুজনের মধ্যে ধস্তাধস্তি শুরু হয়ে যায়।
নিউ ইয়র্ক টাইমস বলছে, ফাহিম সালেহ’র জন্ম ১৯৮৬ সৌদি আরবে। এরপর পরিবারের সাথে তিনি নিউ ইয়র্কে চলে যান। সালেহ পড়াশুনা করেছেন নিউ ইয়র্কে। ফাহিম সালেহের বাবা সালেহ উদ্দিন বড় হয়েছেন চট্টগ্রামে আর মা নোয়াখালীর । ফাহিম পড়াশোনা করেন ইনফরমেশন সিস্টেম নিয়ে আমেরিকার বেন্টলি বিশ্ববিদ্যালয়ে। থাকতেন নিউ ইয়র্কের ম্যানহাটনে।
২০১৪ সালে তিনি ঢাকায় এসে প্রযুক্তি-ভিত্তিক কিছু ব্যবসার উদ্যোগ নিয়েছিলেন। কিন্তু সেগুলো ব্যর্থ হয়। এরমধ্যে ‘পাঠাও’ উদ্যোগ সফল হয়েছিল। শুরুতে পণ্য পরিবহন সার্ভিস থাকলেও পরবর্তীতে রাইড শেয়ারিং সেবাও চালু করে পাঠাও।
পাঠাও প্রতিষ্ঠার সাথে ফাহিম সালেহ’র সাথে আরো দু’জন ছিলেন। পরবর্তীতে ফাহিম সালেহ তার কিছু শেয়ার বিক্রি করে দিয়ে নিউইয়র্কে ফিরে আসেন। এরপর তিনি ‘পাঠাও’ এর আদলে অন্য দেশে ব্যবসার চিন্তা করেন।