সেলিম কোরেশী
নির্বোধ :
নির্বোধ খোঁজে নির্মম শুন্যতা তারই মূর্খতায়;
পাগল দেখে সব কিছু এক রক্ত চক্ষুর পাগল পানায়।
কাল সন্ধ্যের এক মহামিলনের ঢলা ঢলিতে
একসিকি পরিচিত নির্বোধকে বলেছিলেম;
তুমি পারবে কি আমায় একটু কৃপা করতে।
গদগদেহাসি উপহার দিয়ে বলেছিলো,
কি করতে হবে ভাইজান।
আমি বললাম একটু গুনে দেবে আমায়
এই পশ্চিমা মোড়কে সাজানো হল ঘরে
কত জন নির্বোধ, অবোধের মতন
হাহা হিহি করে নিজকে সাজিয়েছে মূর্খতায়।
সে মুচকি হেসে বললো
বড় শক্ত কাজ ধরিয়ে দিলেন ভাই;
সব শুদ্ধ গুনে শেষ করতে সময় নেবে অনেক,
তার চেয়ে বরং কত জন প্রাজ্ঞ আছেন
তা গুনে দেই,
সময় নেবে অনেক কম।
—
নির্বোধ ২
কোনো এক সেমিনারে
একজন প্রৌড় প্রাজ্ঞ বলেছিলেন
ধীরে কিন্তু সুস্পষ্ট স্বরে ;
সকল অসুখ আশুভ অসৎ আর অমঙ্গলের
আরোগ্যে রবিধান আছে ,
শুধু নির্বোধিতার কোনো আরোগ্য নেই।
আর হবেওনা কখোনো
না হাজারব কুনিতে
না আদর উপদেশে
এই এক্রোখা গোঁয়ারদের কোনও হিত নেই।
এ যেন এক ভরা নদীর জলে
অনেক কষ্টে লেখা কেলি গ্রাফি
লিখার আগেই জলে ডুবে হয় একাকার।
ইছা নবী অন্ধকে আলো দিয়ে ছিলেন তাঁর নয়নে হাত রেখে;
পক্ষ ঘাত আর কোস্টের রোগীকে আরোগ্য এনে দিয়েছিলেন
ভালবাসার পরশে।
কিন্তু আদৌ কোন ওসময় নস্ট করেননি তিনি
মূর্খ অনভিজ্ঞ আরনির্বোধের সেবায়।
