যদি সত্যি হয় তবে পৃথিবীর জন্মের দিন থেকে আজ অবধি কুৎসিৎতম “স্ক্যাম” কোভিড-১৯। ২০১৫ সালে এক প্রেস কনফারেন্সে ৬০০ জন ডাক্তারের তৈরি মেডিক্যাল বোর্ড এক সংগঠন তৈরি করে “ডক্টর্স ফর ট্রুথ” । উনারা“কোভিড-১৯” ( ২০১৫ সালে “কোভিড-১৯” নাম ???)নামের এক ভয়াবহ পরিমণ্ডল তৈরি করার ভয়ঙ্কর স্ক্যামের ভাবনা ভাবা হচ্ছে। যার মূলে আসলে ব্যবসায়ীদের ডিজিট্যাল বাজার দখলের নোংরা খেলা এবং প্রতিষেধকের নতুন বাজার তৈরির উন্মত্ত খেলা। এবং এটাই হতে চলেছে নিকৃষ্টতম গ্লোবাল ক্রাইম।
অ্যামেরিকায় এর উপর একটা তথ্যচিত্র নির্মাণ করা হয় … “প্ল্যানডেমিক” নামে। ২০১৫ সালে রিচার্ড রথশিল্ড নামের একজন বিজ্ঞানী কোভিড টেস্টিং কিটের পেটেন্ট নিয়ে রাখেন। চুপিসারে চুক্তি স্বাক্ষর হয় পৃথিবীর একমাত্র ধনকুবের বিল গেট্স’য়ের সঙ্গে। ২০১৭ এবং ২০১৮ এই দুবছরে দশ কোটি টেস্টকিট্ উৎপাদন হয়, এবং তা সংরক্ষণ করে বিল গেট্স। আজ থেকে তিন বছর আগেই কোভিড-১৯-এর রূপরেখা যে তৈরি হয়ে গিয়েছিল শুধু তাই নয়, কোন দেশে কত রপ্তানি করা হবে তারও ভাগ বাঁটোয়ারা তৈরি হয়ে গিয়েছিল। সে তথ্যও বিল গেট্সের সংগঠন WITS (World Integrated Trade Solution) থেকে পাওয়া গেছে।
২০২০ সেপ্টেম্বরের পাঁচ তারিখ সোশ্যাল মিডিয়ায় এই খবর ভাইরাল হয়ে যেতেই, ছয় তারিখ পরের দিন উইট্স “কোভিড-১৯ টেস্ট কিট” নাম বদলে “মেডিকেল টেস্ট কিট” নামকরণ করে বুলেটিন দিয়ে দেয়। অথচ দু’বছর আগেই অ্যামেরিকা, ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন এবং চায়না’তে কোটি কোটি কোভিড-১৯ য়ের টেস্টকিট্ সরবরাহ হয়ে গিয়েছে। সংক্রমণের নাম গন্ধ কিন্তু ছিল না তখন।
ভয়ঙ্কর হলেও সত্যি … বিশ্বব্যাঙ্ক বলছে —”কোভিড-১৯” এমন এক পরিকল্পনা যার ব্যাপ্তি মার্চের ২০২৫ পর্যন্ত এবং সেই থেকে পুরোদমে শুরু হয়ে যাবে ডিজিট্যাল ওয়ার্ল্ড। অটোমেশন যুগের সেটাই হবে শুরু। এবং তখন ব্যাঙ্কে টাকা রাখলে শুধু রক্ষণাবেক্ষণের জন্য ব্যাঙ্ককে পয়সা দিতে হবে। শুধু ডিজিট্যাল যুদ্ধ নয়, সাথে দোসর হবে অর্থনৈতিক যুদ্ধ। গরীব এবং বড়লোক কেবল এই দুটো শ্রেণী থাকবে। শুরু হবে ডিজিট্যাল মন্বন্তর।
বিল গেট্সয়ের পক্ষ থেকে অ্যান্থনি ফৌসি ২০১৭ সালে এক বিজ্ঞান আলোচনায় অসম্ভব দৃঢ়তার সাথে অদ্ভুত এক ঘোষণা করে বসেন। উনি বলেন :“ডোনাল্ড ট্রাম্প ২০১৯ সালে এক বিস্ময়কর জৈব মহামারীর সম্মুখীন হবেন। যার উত্তর আমরা তৈরি রেখেছি”। কীভাবে পারলেন ঐ বিজ্ঞানী এই ঘোষণা করতে?
২০১৮ সালে বিল গেট্স উক্তি করছেন …“আ গ্লোবাল প্যানডেমিক ইজ অন ইট’স ওয়ে, দ্যাট কুড্ ওয়াইপ আউট থার্টি মিলিয়ন পিপল “ইট উড্ কনটিনিউড টিল নেক্স্ট ডিকেড।
তার একবছর পর অক্টোবরের ২০১৯-এ পৃথিবীর এক নাম্বার ভ্যাক্সিন ডিলার গেট্স নিউ ইয়র্কে দু’দিনের বিজনেস মিটিং ডাকলেন, তার দ্বিতীয় দিনের অ্যাজেন্ডা ছিল “করোনা ভাইরাস প্যানডেমিক এক্সারসাইজ”। এই বিজনেস মিটিং’য়ের শিরোনাম ছিল “ইভেন্ট ২০১”। সেখানে তিনি মার্কেটিয়রদের উদ্দেশ্যে বললেন “উই নিড টু প্রিপেয়ার ফর দ্য ইভেন্ট”।
যেখানে আমি আর আপনি হলাম তার উপকরণ। পৃথিবীর সেরা জৈব-অস্ত্র বিজ্ঞানী পরিস্কার বলছেন, ততদিনে চিনের উহান গবেষণাগারে এই মারণ অস্ত্র তৈরি প্রায় শেষ। বিল গেট্স অনুমতি দিলেই শুধু ছড়িয়ে দেবার অপেক্ষা।
২০১৫ সালে অ্যান্থনি ফৌসি ৩০ কোটি টাকা আগাম ইন্সেন্টিভ দিয়েছিলেন সেইসব বিজ্ঞানীদের যারা কথা দিয়েছিল, এমন মারণাস্ত্র তৈরি করা সম্ভব, এবং যার জন্য পৃথিবীর সেরা এবং যোগ্য গবেষণাগার এই উহান। কারণ ইতালীর চাইতেও অধিকতর ঘনত্বে বৃদ্ধদের বসবাস এই উহানে। যার জন্য সরকারকে প্রতিশ্রুতি ভাতা গুনতে হয় ভারতীয় মুদ্রায় মাসিক প্রায় আশি হাজার কোটি টাকা। রাসায়ানিক অস্ত্র পরীক্ষা করার জায়গা হিসেবে এর চাইতে ভাল জায়গা গোটা পৃথিবীতে ছিল না।
আরও কিছু সন্দেহ জনক তথ্য লিখে যান লেখক রবিন ডি রুইট্যর তার “করোনাক্রাইসিস” বইতে। ভাবুন তো একবার, ২০০৮ সালে এই বই লিখতে গিয়ে উনি আগাম লকডাউন প্যান্ডেমিকের কথা লিখে যাচ্ছেন। ২০১২ সালে গ্রীষ্মকালীন অলিম্পিক্সের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে দেখানো হচ্ছে প্যান্ডেমিকের উপর অনুষ্ঠান। যেখানে নার্সেরা মাস্ক পরিহিত অবস্থায় শুশ্রুষার অভিনয় করছেন আক্রান্ত রোগীর। ২০১৪ সালে সাংবাদিক হ্যারি ভক্স তার প্রতিবেদনে লিখছেন “এক ভয়ঙ্কর রাসায়ানিক যুদ্ধের প্রস্তুতি চলছে, যা হয়তো পৃথিবীর ধ্বংসের শুরু”।
ভ্যাক্সিন মানে বাজার। একচেটিয়া বাজার। ছশো কোটি ভ্যাক্সিনের মালিক বিল গেট্সের এর পরের অবদান *ডিজিট্যাল ভ্যাক্সিন আই-ডি*। যা হবে আপনার-আমার পরিচয় পত্র । এই আই-ডি যন্ত্র একটা এক্স-রে মেশিনের মতো। আপনার দেহে স্পর্শমাত্রই সে বলে দেবে আপনি ভ্যাক্সিনেটেড কিনা। এই টেকনোলজির নাম WO2020-060606।
বিলের গ্লোবাল মনিটরিং চলছে এখন। যন্ত্র তৈরি। এবার শুধু বিশ্বব্যাপি ঘোষণার অপেক্ষা। আমি-আপনি বাইরে বের হলেই, যেখানে ঢুকবেন, এই যন্ত্রের পরীক্ষার ভিতর দিয়ে আমাদেরকে ঢুকতে হবে। মেট্রো’র প্রবেশপথের গেট’য়ের মতোই দেখতে হবে এটা।
অতএব আমরা এমন এক সন্ধিক্ষণে দাঁড়িয়ে আছি, যখন পৃথিবীর শক্তিধর রাষ্ট্রগুলোই মরণ খেলায় মগ্ন। কোনো লাভ নেই জেনেই ভ্যাক্সিন নিতে হবে… কারণ এটাই বাজার চেয়েছিল।
—–( Dr.Tamal B. Roy chowdhury.)——-
দখিনা সংবিধান ও স্বাধীন মতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক মন্তব্য না দেয়ার জন্য পাঠকদের প্রতি অনুরোধ। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য সংশোধন করার ক্ষমতা রাখে।