মা ও শিশু হাসপাতালসহ নিম্নাঞ্চলে হাঁটু পানি
জলাবদ্ধতার কারণে চট্টগ্রামের বিশেষায়িত মা ও শিশু হাসপাতাল চরমভাবে ব্যাহত হচ্ছে চিকিৎসা সেবা। বৃষ্টি আর জোয়ারের পানি নিচতলায় জমে থাকায় জরুরি বিভাগে সেবা দেওয়া কঠিন হয়ে পড়ছে । হাসপাতালের অভ্যর্থনা বিভাগ,লিফট রুম, বহির্বিভাগ, প্রশাসনিক বিভাগসহ গুরুত্বপূর্ণ আরও বেশকিছু বিভাগ থইথই করছে পানিতে। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়তে হয়েছে সাধারণ রোগীদেরও। পানি থেকে রক্ষা পেতে হাসপাতালের নিচতলা প্রায় আড়াই ফুট উঁচু করা হলেও এতেও রক্ষা মিলছে না কোন সুফল।
২৫-৭-২১ শনিবার সকালে সরজমিনে দেখা যায়,হাঁটুপানিতে ডুবে আছে নগরীর এই বিশেষায়িত হাসপাতালের মেঝে । আর সেই পানিতে ভাসছে ময়লা, আবর্জনা, পলিথিন, ব্যবহৃত গ্লাভস, মাস্ক, গজ ব্যান্ডেজ, ওষুধের প্যাকেট, খোসাসহ নানা কিছু। এ অবস্থায় নিচে পা ফেলা মুশকিল। যে কারণে পা গুটিয়ে বেডের ওপর বসে থাকতে দেখা গেছে অনেক রোগীদের। ময়লা ও দুর্গন্ধযুক্ত পানির কারণে চিকিৎসাধীন রোগীসহ হাসপাতালে আগমকারীদের নতুন স্বাস্থ্যগত সমস্যা দেখা দিয়েছে। বিশেষায়িত হওয়ায় দূরদূরান্ত থেকে অনেকেই কোলের শিশু নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হতে এসেও ফিরে গেছেন অন্যত্র।
সন্দ্বীপ থেকে আসা হার্টের রোগী হাসপাতালে এসেই পড়েন পানির ভোগান্তিতে। ডাক্তারের জন্য অপেক্ষ করতে হবে আগামীকাল পর্যন্ত । হাসপাতালেই রাতটা কাটিয়ে সকালে ডাক্তার দেখিয়ে বাড়ি ফিরতে হবে। কিন্তু পানির অবস্থা দেখে কি করবে বুঝে উঠতে পারছে না রুগীরা। আশে পাশের অনেক রুগী রিপোর্ট দেখাতে এসেও পানির অবস্থা দেখে রিপোর্ট না দেখিয়েই বাড়ি ফিরছেন তারা।
প্রতিবছর বর্ষা মৌসুমে, ভারী বৃষ্টি হলে কিংবা ভরা পূর্ণিমায় নগরের নিম্নাঞ্চলে আগ্রাবাদ সিডিএ আবাসিকের মতো হাসপাতালটির পুরোনো ভবনের নিচতলায় হাঁটু পানি উঠে যায়। আগ্রাবাদ সিডিএ আবাসিক, মা ও শিশু হাসপাতাল, শান্তিবাগ, হালিশহর, চান্দগাঁও, বাকলিয়া, খাতুনগঞ্জসহ বেশ কিছু এলাকায় বাসা-বাড়ির নিচতলা, দোকানপাট ও সড়কে পানি উঠে গেছে।