বান্দরবান বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩য় প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী: বান্দরবান বিশ্ববিদ্যালয়ে দুই লেন সড়ক করে দিচ্ছে স্থানীয় সরকার
আজ শনিবার মার্চ ১২, ২০২২ দুপুরে সুয়ালকে বান্দরবান বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থায়ী ক্যাম্পাসে প্রতিষ্ঠানটির ৩য় প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষ্যে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং বলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অনুমোদিত বান্দরবান বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য দুই লেন সড়ক করে দিচ্ছে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি)। সড়ক নির্মাণে ব্যয় হবে ছয় কোটি এক লাখ টাকা। একাডেমিক ভবন করে দিচ্ছে পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড, ছাত্রাবাস করে দিচ্ছে বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদ। তিনি আরো বলেন, কাঠ, পরিবহনসহ বিভিন্ন ব্যবসায়ী সংগঠন বান্দরবান বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য ডোনেশন দিচ্ছে। এ ডোনেশনের টাকা শুধুমাত্র গরীব-মেধাবী ছাত্রছাত্রীদের জন্য শিক্ষাবৃত্তির কাজে ব্যবহার করা হবে।
সেরা মানের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হিসেবে এটিকে গড়ে তুলতে কার্যক্রম চলমান রয়েছে ।এ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার গুণগত মান, অবকাঠামো বর্তমানে যা আছে, সার্বিক ক্ষেত্রে এর চেয়ে শতগুণ মান বাড়াতে আমরা চেষ্টা করে যাচ্ছি । যাতে যে কেউ বলতে পারে বান্দরবান বিশ্ববিদ্যালয় মানেই সেরা বিশ্ববিদ্যালয়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. এএফ ইমাম আলীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় উপস্থিত ছিলেন কর্নেল এবিএম ফারুকুজ্জামান, উপপরিচালক-স্থানীয় সরকার (উপসচিব) মো. লুৎফুর রহমান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) মো. কুদ্দুস ফরাজী, বান্দরবান পৌরসভার মেয়র মো. ইসলাম বেবী, বান্দরবান বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার প্রফেসর ড. মো. নুরুল ইসলাম।
অনুষ্ঠানে অংশ নেন অনুষ্ঠানে সকল উপজেলা ও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান, জেলা উপজেলা পর্যায়ের সরকারি বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাবৃন্দ, বিভিন্ন ব্যবসায়ী সংগঠন ও সমিতির নেতৃবৃন্দ, অভিভাবক শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, ২০১৯ সালে ৭ ফ্রেব্রুয়ারি পার্বত্য চট্টগ্রামের প্রথম বেসরকারি এ বিশ্ববিদ্যালয়ের আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা শুরু হয়। বান্দরবান শিক্ষা ও উন্নয়ন ফাউন্ডেশন এবং পার্বত্য জেলা পরিষদের মধ্যে সমঝোতা স্মারকের ভিত্তিতে পাবলিক-প্রাইভেট পার্টনারশিপে (পিপিপি) এ বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করা হয়। সরকের নির্মাণকাজ চলমান বলে জানিয়েছেন এলজিইডির বান্দরবান নির্বাহী প্রকৌশলী এনএসএম জিল্লুর রহমান।