ভারতের চন্দ্রাভিযান

0
123

ভারতের চন্দ্রাভিযান

বিশ্বের চতুর্থ দেশ হিসেবে চাঁদের বুকে অবতরণ করলো ভারতের চন্দ্রযান-৩। সবার আগে চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে নেমে ইতিহাস তৈরি করলো ভারতই। যা ভারতকে বিশ্বের এলিট ‘স্পেস ক্লাবে’ জায়গা করে দিল। ঠিক পরিকল্পনামত সন্ধ্যা ছয়টা বেজে চার মিনিটে চাঁদের মাটি স্পর্শ করলো ল্যান্ডার বিক্রম।এক অসাধারণ মাইলফলক স্পর্শ করলেন বৈজ্ঞানিকরা। গত ১৪ জুলাই অন্ধ্রপ্রদেশের শ্রীহরিকোটায় সতীশ ধাওয়ান স্পেস সেন্টার থেকে চন্দ্রযান-থ্রির এই যাত্রা শুরু হয়েছিল। বুধবার ২৩ অগাস্ট ২০২৩,ভারতীয় সময় সন্ধ্যা ৬টা ৪ মিনিটে এই ঐতিহাসিক সাফল্যের মধ্যে দিয়ে ভারত এই গৌরব অর্জন করল ।এর আগে ২০১৯ সালে ভারতের চন্দ্রযান-২ মহাকাশযান চাঁদের বুকে সফট ল্যান্ডিংয়ের লক্ষ্য অর্জন করতে ব্যর্থ হয়েছিল।প্রায় চার বছর বাদে এসে চন্দ্রযান-৩ কিন্তু সেই লক্ষ্যে পুরোপুরি সফল হল।

এই অভিযানের আর একটি বৈশিষ্ট্য হল এটি অবতরণ করেছে চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে,বিশ্লেষণ করে দেখবে চাঁদের মাটি। চন্দ্রপৃষ্ঠে কী কী ধরনের খনিজ পদার্থ আছে, দেখবে জলীয় বরফ আছে কি না। ফলে চন্দ্রযান-৩-এর অপরিসীম গুরুত্ব আছে।সম্প্রতি জলের অস্তিত্ত্ব প্রমাণিত হওয়ার পর সারা পৃথিবী জুড়ে বিজ্ঞানীদের আগ্রহ ও মনোযোগ এখন চন্দ্রপৃষ্ঠের ওই অঞ্চলটিতেই।

এর আগে সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়ন, অ্যামেরিকা, চীনের চন্দ্রাভিযান সফল হয়েছে। ভারত সেই এলিট গ্রুপে শামিল হলো। তবে অন্য কেউ চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে না যাওয়ায় চন্দ্রযান-৩ বাড়তি গুরুত্ব পচ্ছে।

এই সফট ল্যান্ডিংয়ের পর পরবর্তী ১৪ দিন (যেটা এক চান্দ্র দিবসের সমান) ধরে চন্দ্রযান-৩  মুন রোভার ‘প্রজ্ঞান’ চাঁদের বুক থেকে নানা ছবি ও ডেটা পাঠায়। সৌরশক্তি চালিত সোলার সেল হওয়ার কারনে চোদ্দ দিন পর প্রজ্ঞান রোভারের সক্রিয়তা ধীরে ধীরে কমে আসবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।এক পর্যায়ের পর ওই সেলগুলো সূর্যালোকের আড়ালে চলে যাবে।

ইসরোর তথ্য অনুসারে, চন্দ্রযান-৩ অভিযানে মোট ৬১৫ কোটি ভারতীয় রুপি বা ৭৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের মতো খরচ হয়েছে। যা চার বছর আগেকার চন্দ্রযান-২-এর চেয়েও অনেকটা কম খরচ হয়েছে এই অভিযানে।এত কম খরচে পৃথিবীতে কোনও সফল মহাকাশ অভিযান লঞ্চ করার নজির খুব কমই আছে।