বিপৎসীমার ওপরে তিস্তার পানি তলিয়ে গেছে নিম্নাঞ্চল

0
98

বিপৎসীমার ওপরে তিস্তার পানি তলিয়ে গেছে নিম্নাঞ্চল

তিস্তার গজলডোবা ব্যারেজ দিয়ে বাংলাদেশের দিকে রেকর্ড পরিমাণ পানি ছেড়েছে ভারত। পানির চাপ নিয়ন্ত্রণে, তিস্তা ব্যারেজের ৪৪ টি জলকপাট খুলে দেওয়া হয়েছে। শুক্রবার (২৫ আগস্ট) বিকাল ৪টায়, তিস্তা ব্যারাজ ডালিয়া পয়েন্টে তিস্তার পানি প্রবাহ রেকর্ড করা হয় ৫২ দশমিক ২৬ মিটার; যা (স্বাভাবিক ৫২ দশমিক ১৫ মিটার) বিপদ সীমার ১১ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। গতকাল আগস্ট ২৫, ২০২৩ শুক্রবার সকাল ছয়টা থেকে বিকেল চারটার মধ্যে ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ২ লাখ ১ হাজার ৬৪৭ কিউসেক এবং সর্বনিম্ন ১ লাখ ৬৯ হাজার ৮৪৮ কিউসেক পানি বাংলাদেশের দিকে ছাড়া হয়েছে। ফলে নদীর বাম তীরের লালমনিরহাটের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। এতে বন্যার আশংকা করা হচ্ছে বাংলাদেশের তিস্তা সংলগ্ন এলাকায়। ফসলের জমিতে পানি উঠেছে; পানিবন্দী হয়ে পড়ছে অসংখ্য পরিবার। ইতোমধ্যেই চরাঞ্চলের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় আতংকিত হয়ে পড়েছে তিস্তা পাড়ের মানুষ।

এর আগে, গত ১৪ আগস্ট বিপদ সীমা অতিক্রম করে তিস্তা। তবে, একদিন পর জলস্তর নিচে নেমে আসে। বৃহস্পতিবার (২৪ আগস্ট) রাত থেকে আবার পানি বাড়তে থাকে। শুক্রবার সকাল ৯টায় ডালিয়া পয়েন্টে তিস্তার পানি বিপদ সীমা বরাবরে প্রবাহিত হয়। ৩ ঘণ্টা পর, দুপুর ১২টায় বিপদ সীমা অতিক্রম করে।

পশ্চিমবঙ্গ সেচ দপ্তরের বন্যা নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্র থেকে জানা যায় যে, সেচ অধিদপ্তর তিস্তা সংলগ্ন ভারতের সংরক্ষিত এলাকায় হলুদ সতর্কতা জারি করা হয়েছে। আর দোমহনী থেকে বাংলাদেশ পর্যন্ত সংরক্ষিত এলাকায় জারি করেছে লাল সতর্কতা। এদিকে, গত ২৪ ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে সিকিম, দার্জিলিং ও পশ্চিমবঙ্গের উত্তরের জেলাগুলোতে চলছে ভারী বর্ষা। তিস্তা সংলগ্ন পশ্চিমবঙ্গের উত্তর জেলা জলপাইগুড়িতে গত ২৪ ঘণ্টায় বৃষ্টি হয়েছে ১৪৩ মিলি এবং শিলিগুড়িতে বৃষ্টি হয়েছে প্রায় ২২৩ মিলি লিটার।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তিস্তা ব্যারাজ ডালিয়া শাখার নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ আসফা উদ দৌলা বলেন, “উজানে ভারী বৃষ্টি আর পাহাড়ি ঢলে ভোর থেকে তিস্তার পানি প্রবাহ বেড়েছে এবং দুপুর ১২টায় বিপদসীমা অতিক্রম করে।। সবগুলো জলকপাট খুলে পানি প্রবাহ নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে।”