পল্লী নিবাসে পল্লীবন্ধুর দাফন সম্পন্ন

0
977

রংপুরের গণমানুষের আবেগ, ভালোবাসা, কৃতজ্ঞতাবোধের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে সাবেক রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহম্মদ এরশাদকে রংপুরের পল্লীনিবাসে​ দাফন করা হয়েছে। এরশাদের স্ত্রী রওশন এরশাদ ও ছোটভাই জিএম কাদেরসহ পরিবারের সম্মতিতে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

আজ মঙ্গলবার সন্ধ্যা পৌনে ৬টার দিকে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় দাফনকার্য সম্পন্ন করা হয়।

চার কিলোমিটার হেঁটে জাতীয় পার্টির সদ্য প্রয়াত চেয়ারম্যান এইচ এম এরশাদের মরদেহ বহনকারী গাড়ি এরশাদের স্বপ্নের বাসভবন রংপুরের পল্লী নিবাসে নিয়ে গেলেন দলীয় নেতাকর্মীরা।

মঙ্গলবার বাদ জোহর বেলা আড়াইটায় রংপুরের কালেক্টরেট ঈদগাহ ময়দানে জানাজা শেষে ঢাকায় নিয়ে যাওয়ার পথে মরদেহ বহনকারী গাড়ি আটকে দেওয়া হয়। এ সময় জাতীয় পার্টির নেতাকর্মীরা স্লোগান দিয়ে এরশাদকে রংপুরে দাফনের দাবি জানান।

সামরিক মর্যাদায় দাফন করা হচ্ছে হুসেইন মুহাম্মদকে এরশাদকে

এ অবস্থায় রংপুরের মানুষের ভালোবাসার প্রতি শ্রদ্ধা রেখে পল্লী নিবাসেই সাবেক রাষ্ট্রপতি এরশাদকে দাফন করার সিদ্ধান্ত নেয় জাতীয় পার্টি। পরে কালেক্টরেট ঈদগাহ ময়দান থেকে প্রায় চার কিলোমিটার দূরে পল্লী নিবাসের উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করেন নেতাকর্মীরা।

জাতীয় পার্টির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জিএম কাদের বলেন, ভালোবাসার জয় হয়েছে। রংপুরের মানুষ এরশাদকে ভালোবাসে এটা তার বহিঃপ্রকাশ। রংপুরের জনগণ যখন জোর দাবি তুললো এখানেই দাফন করতে হবে, আমরা আর সেই দাবি ফেলতে পারলাম না।

জাতীয় পার্টির মহাসচিব মশিউর রহমান রাঙা বলেন, যেহেতু এটা তার নিজের জায়গা নিজের বাড়ি। এখানে আমরা তার নামে উনার জীবনের সার্বিক বিষয় নিয়ে একটা মিউজিয়াম তৈরি করবো।
তার আগে, দলীয় প্রধানকে শেষ বিদায় জানাতে মঙ্গলবার সকাল থেকেই রংপুর ঈদগাহ মাঠে জড়ো হতে শুরু করেন স্থানীয় নেতাকর্মী ও রংপুরের সর্বসাধারণ। তার প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন রংপুরবাসী।

এর আগে সকাল সাড়ে ১০টায় রাজধানীর তেজগাঁওয়ের পুরাতন বিমানবন্দর থেকে বিমানবাহিনীর একটি হেলিকপ্টারে করে রংপুরে নিয়ে যাওয়া হয় এরশাদের মরদেহ।

বিএম/এমআর