সোমবার (১১ সেপ্টেম্বর) মাসিক দখিনার উদ্যোগে ‘সহিংসতা নারী ও শিশু-সমাজের করণীয়’ শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত।
মাসিক দখিনার উদ্যোগে ‘সহিংসতা : নারী ও শিশু-সমাজের করণীয়’ শীর্ষক বুধবার (১১ সেপ্টেম্বর,২০১৯) এক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়। মাসিক দখিনার সম্পাদক প্রফেসর সরওয়ার জাহানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সেমিনারে প্রধান অতিথি ছিলেন প্রফেসর ইঞ্জিনিয়ার এম আলী আশরাফ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রফেসর ইঞ্জিনিয়ার এম আলী আশরাফ বলেন, নারী ও শিশুর প্রতি সহিংসতা বর্তমানে একটি সিরিয়াস ইস্যু কারণ সংবাদপত্রে ও টিভিতে আমরা প্রতিনিয়ত এ ধরনের খবর দেখতে পাচ্ছি। তবে সবচেয়ে দুঃখের বিষয় হচ্ছে যে বা যারা নারী ও শিশু নির্যাতনে জড়িত তাদের মধ্যে কোনো অনুশোচনা দেখা যায় না। সাদা মনের মানুষদের নীরব ভূমিকার কারণে এসব হীনকর্মকাণ্ড আরও বেড়ে যাওয়ার অন্যতম কারণ।
গ্রামে সালিশের নামে দোষী ব্যক্তিকে নির্দোষ হিসেবে ছেড়ে দেওয়া হয়। প্রকৃত অর্থে আমাদের সমাজ ব্যবস্থা সহযোগিতামূলক নয়। অথচ এশিয়ার দেশ জাপানে দেখা যায় প্রত্যেক মানুষ একে অপরের প্রতি আন্তরিক ও সহযোগিতা পরায়ন। পরীক্ষার চাপমুক্ত সময়ে যদি পরিবার ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান শিক্ষার্থীদের নীতি-নৈতিকতা শিক্ষা দেয় তাহলে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের মধ্যে সহিংস আচরণ অনেকাংশে হ্রাস পাবে।
বিশিষ্ঠ আইনজীবি প্রফেসর মহিউদ্দিন খালেদ বলেন, সর্বোচ্চ মৃত্যুদণ্ড বিধান রেখে নারী ও শিশু নির্যাতনে দেশে অনেকগুলো আইন আছে। তবে প্রমাণের অভাবে ভুক্তভোগীরা ন্যায় বিচার থেকে বঞ্চিত হয়। কোরআন শিক্ষার আদর্শ অনুসরণ করতে পারলেই এসব পাপাচার এমনিতে কমে যাবে।
দখিনার সম্পাদক প্রফেসর সরওয়ার জাহান বলেন, নীতি-নৈতিকতার অধঃপতনে আমরা জাতি হিসেবে এখন নিপীড়নে নিম্নমুখী। নারী ও শিশু নির্যাতনের মত ঘৃণিত কাজ করতে আমাদের বিবেক বাধাগ্রস্ত হয় না। যেকোনো নেতিবাচক কর্মকাণ্ড করতে আমাদের বুক কাঁপে না। তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজ হচ্ছে সাধারণ মানুষকে সচেতন করা। সেমিনারে নারী ও শিশু নির্যাতনের উপর একটি ডকুমেন্টারি উপস্থাপন করা হয় ।
সেমিনারে নারী ও শিশু নির্যাতনের উপর একটি ডকুমেন্টারি উপস্থাপন করেন রেহেনুমা সুলতানা খান। তিনি শিশু অধিকার ফোরাম থেকে প্রাপ্ততথ্যের ভিত্তিতে ২০১৬, ২০১৭ ও ২০১৮ সালের নারী ও শিশু নির্যাতনের তুলনামূলক হার বিশ্লেষণ করেন। এর আগে বাংলাদেশের নারী ও শিশু নির্যাতন নিয়ে আল-জাজিরা চ্যানেলের একটি বিশেষ প্রতিবেদন প্রচার করা হয়।
