ইউনেসকোর প্রতিনিধিদল সুন্দরবন পরিদর্শনে

0
700

ইউনেসকোর প্রতিনিধিদল সুন্দরবন পরিদর্শনে

রামপালের কয়লাভিত্তিক তাপবিদ্যুৎকেন্দ্র, বরগুনার তালতলী ও পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় নির্মিতব্য কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মিত হলে সুন্দরবনে তার কী প্রভাব পড়বে, তা দেখতে ইউনেসকোর যৌথ মিশনের একটি প্রতিনিধিদল গত বুধবার ১১ ডিসেম্বর ২০১৯ বিকেলে সুন্দরবনের অভ্যন্তরে প্রবেশ করেছেন।

পূর্ব সুন্দরবনের চাঁদপাই রেঞ্জ কর্মকর্তা শাহীন কবির জানান, প্রতিনিধি দলের সুন্দরবন পরিদর্শনকে কেন্দ্র করে বনবিভাগের সব কর্মকর্তা-কর্মচারীকে ছুটি বাতিলসহ বনে অবাঞ্চিত লোকজনের প্রবেশ ও সব ধরনের বনজ ও জলজ সম্পদ আহরণ বন্ধ রেখেছে বনবিভাগ।

জানা যায়, জাতিসংঘের শিক্ষা, বিজ্ঞান ও সংস্কৃতি সংস্থা ইউনেসকোর নয়াদিল্লি কার্যালয়ের কর্মকর্তা গাই ব্রুক, ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সেন্টারের অ্যাকান নাকামুরা, আইইউসিএনের এলিনা অসিপভা ও এন্ড্রো ওয়াইট। তাঁরা তিন দিন ধরে সুন্দরবনে অবস্থান করবেন। বনের পরিবেশগত দিক এবং বিশ্ব ঐতিহ্য এ বনের জীববৈচিত্র্যের বর্তমান অবস্থান সরেজমিনে দেখবেন ও তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করবেন।

সূত্র আরও জানায়, এই প্রতিনিধিদল সুন্দরবন পরিদর্শনের পাশাপাশি বনের আশপাশে অবস্থিত শিল্প–কলকারখানা, বিশেষ করে রামপালের কয়লাভিত্তিক তাপবিদ্যুৎকেন্দ্র, বরগুনার তালতলী ও পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় নির্মিতব্য কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রভাব ছাড়াও আন্তর্জাতিক সমুদ্রবন্দর মোংলার পশুর চ্যানেলসহ অন্যান্য নদী খননের ফলে সুন্দরবনের প্রাণ-প্রকৃতির ওপর প্রতিবেশগত যে বিরূপ প্রভাব পড়বে, তা–ও পর্যালোচনা ও মূল্যায়ন করবে। এই যৌথ মিশনের দেওয়া তথ্য-উপাত্তের ওপর ভিত্তি করেই ইউনেসকোর ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ কমিটি সুন্দরবনের প্রাণ-প্রকৃতির ওপর প্রতিবেশগত হুমকির বিষয়ে বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশ করবে ।