রেমিট্যান্স ছাড়া অর্থনীতির সব সূচক নিম্নমুখী

0
752

 

বিদায়ী বছরে প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্স ছাড়া অর্থনীতির প্রায় সব সূচক নিম্নমুখি। বছর জুড়ে আলোচনায় থাকলেও এক অঙ্কে আনা সম্ভব হয়নি সুদের হার। এছাড়া, বছরের শেষ দিকে ভোগান্তিতে ফেলেছে নিত্যপণ্যের চড়া দাম। আসছে বছর প্রাতিষ্ঠানিক সংস্কারের মাধ্যমে সুশাসন ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করার পরামর্শ সংশ্লিষ্টদের।

বিশ্ব মন্দার প্রভাব পড়েছে বাংলাদেশের আমদানি-রপ্তানিতে। পাশাপাশি দিনের পর দিন বাণিজ্য ঘাটতির পরিমাণ বাড়ছে।

অর্থবছরের প্রথম পাঁচ মাসে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে সাড়ে ১২ শতাংশ কম রপ্তানি হয়েছে। আর আগের অর্থবছরের চেয়ে৭ দশমিক ৫৯ শতাংশ কম। এছাড়া প্রথম চার মাসের হিসাবে আমদানি আগের অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় ৩ দশমিক ১৭ শতাংশ কমেছে।

শিল্পের নেতিবাচক অবস্থার প্রভাব পড়েছে রাজস্ব আদায়েও। অর্থবছরের প্রথম চার মাসে ঘাটতি প্রায় ২০ হাজার কোটি টাকা। রাজস্ব আয়ে ৪৫ ভাগ প্রবৃদ্ধি অর্জনের লক্ষ্য ঠিক করা হলেও এই সময়ে প্রবৃদ্ধি মাত্র ৪ শতাংশ।

প্রধানমন্ত্রী নির্দেশের পরও ব্যাংক ঋণের সুদ এক অঙ্কে নামেনি। এখনও নিয়ন্ত্রণে আসেনি খেলাপি ঋণ। সেপ্টেম্বর শেষে খেলাপি ঋণের পরিমাণ বেড়ে দাঁড়িয়েছে এক লাখ ১৬ হাজার ২৮৮ কোটি টাকা।

সরকারের নানা প্রণোদনার পরও বিনিয়োগ বাড়ছে না। কারণ উচ্চ সুদহারে ঋণ নিতে আগ্রহ দেখাচ্ছেন না উদ্যোক্তারা। ফলে ধারাবাহিকভাবে কমছে বেসরকারি ঋণ প্রবৃদ্ধির হার। অক্টোবরে ঋণ প্রবৃদ্ধি হয়েছে মাত্র ১০ দশমিক শূন্য চার শতাংশ।

অর্থনীতিবিদ আহসান এইচ মুনসুর বলেন, সরকাররের অনেক গুলো বিষয়ে রিফরম করবে সেটা শুল্ক সহ সবকিছুতেই। যে গুলোতে বিনিয়োগ করবে সেগুলো এখনো দৃশমান হয় নাই।

বছরের শেষ দিকে এসে পেঁয়াজের দাম ছাড়ায় আড়াইশো টাকা কেজি। বেড়ে যায় প্রায় সবরকম চালের দাম। অন্যান্য নিত্যপণের দামেও ছিলো না স্বস্তি। যার প্রভাব পড়ে মূল্যস্ফীতিতে। নভেম্বরে গড় মূল্যস্ফীতি বেড়ে হয়েছে ৬ দশমিক ৫ শতাংশ। আগের বছর যা ছিল ৫ দশমিক ৪৩ শতাংশ।

চলতি অর্থবছরে প্রথম দুই মাসে উৎপাদন খাতের প্রবৃদ্ধি ২ দশমিক ২ শতাংশ। গত বছর যা ছিলো ১৪ দশমিক ৬ শতাংশ।

অর্থনীতিবিদ ড. কাজী খলীকুজ্জমান আহমদ বলেন, ব্যাংক এবং পুঁজিবাজার ঠিক করতে হবে। দূর্নীতি এবং বৈষম্য দূর করতে হবে এবং তরুন প্রজন্মকে কাজে লাগাতে হবে।

তবে স্বস্তি মিলেছে প্রবাসী আয়ে। ২ শতাংশ নগদ প্রণোদনা ইতিবাচক প্রভাব ফেলেছে এ খাতে। প্রথম পাঁচ মাসে প্রবৃদ্ধি প্রায় ২৩ শতাংশ।

সূত্র: ইন্ডিপেন্ডেন টেলিভিশন