আপন জুয়েলার্সের বিরুদ্ধে ১৯০ কোটি টাকা পাচারের অভিযোগ

0
388

আটক করা প্রায় সাড়ে তের মন স্বর্ণ ও বিপুল পরিমাণ ডায়মন্ড অবৈধভাবে আমদানিতে প্রায় একশ ৯০ কোটি টাকার মুদ্রাপাচারের অভিযোগ উঠেছে স্বর্ণ ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান আপন জুয়েলার্সের বিরুদ্ধে। প্রতিষ্ঠানটি কর ফাঁকি দিয়েছে আরো ২৮ কোটি টাকা। কাস্টমস গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের বিশদ অনুসন্ধানে উঠে আসে এসব তথ্য। আপন জুয়েলার্সের বিরুদ্ধে করা পাঁচ মামলায় অভিযোগপত্র দেয়ার স্বার্থে রাজস্ব বোর্ডকে এ সংক্রান্ত চিঠি দিয়েছে সংস্থাটি।

বনানীর রেইনট্রি হোটেলে ছাত্রী ধর্ষণের পরিপ্রেক্ষিতে ২০১৭ সালের মে মাসে আপন জুয়েলার্সের পাঁচটি শাখায় অভিযান চালায় কাস্টমস গোয়েন্দা। জব্দ করা হয় প্রায় সাড়ে তের মন স্বর্ণালংকার ও পৌনে আট হাজার পিস ডায়মন্ড অলংকার। এসব ঘটনায় চার থানায় মামলা হয় পাঁচটি।

সাড়ে তিন বছর পর এসব মামলার অভিযোগপত্র দিচ্ছে কাস্টমস গোয়েন্দা। এজন্য চাওয়া হয়েছে জাতীয় রাজস্ব রাজস্ব বোর্ডের অনুমোদন।

প্রতিবেদন বলছে, এসব অলংকারের শুল্কায়নযোগ্য মূল্য প্রায় একশ ৯১ কোটি টাকা। যার বিপরীতে পরিশোধযোগ্য শুল্ককর প্রায় ২৮ কোটি টাকা। তদন্তে গোয়েন্দাদের এসব অলংকারের বিপরীতে বৈধ কাগজপত্র দেখাতে পারেনি আপন জুয়েলার্স কর্তৃপক্ষ।

অর্থ পাচার করে চোরাচালানের মাধ্যমে এসব অলংকার আনা হয়েছে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছে গোয়েন্দারা। আর এনবিআরের দেয়া আয়কর নথিতে তথ্য গোপন করে দেয়া হয়েছে করফাঁকি। তবে এ বিষয়ে কথা বলতে রাজি হননি এনবিআর কর্মকর্তারা।

জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সদস্য খন্দকার মুহাম্মদ আমিনুর রহমান বলেন, ফাইনাল স্টেজে আছে। তবে এই বিষয়ে এখনো কিছু বলতে চাই না। এসব বিষয় চেয়ারম্যানের কাছে যাবে।

এদিকে, আমদানি নীতিমালা হওয়ার পর গত বছর নির্দিষ্ট পরিমাণ কর দিয়ে অবৈধ স্বর্ণ বৈধ করার সুযোগ দেয় রাজস্ব বোর্ড । এ সুযোগ নেয় আপন জুয়েলার্স। স্বর্ণ মেলায় আটক ও মজুদ থাকা অলংকার বৈধ করতে প্রায় ১৪ কোটি টাকা কর দেয় প্রতিষ্ঠানটি।

আপন জুয়েলার্সের আইনজীবী নাইম উদ্দীন লিখন বলেন, আমাদের সকল প্রতিষ্টানে সব কিছু যথাযথভাবে দেয়া আছে। নীতিমালা এবং স্বর্নের অর্জনমূল্য নিয়ে প্রশ্ন করা যাবে না।

সিপিডি’র জ্যেষ্ঠ গবেষক তৌফিকুল ইসলাম খান বলেন, সরকার যখন একটা সুবিধা ঘোষনা করে সেটা গ্রহন করার সবার অধিকার আছে। কর ঠিকমতো দেয়া আছে কিনা সে বিষয়ে জানাটা জরুরী। তবে কেউ যদি আইন লঙ্ঘন করে সে বিষয়ে তো ব্যবস্থা নেয়া উচিত।

তদন্তে আপন জুয়েলার্সের মালিক, তিন ভাই আজাদ আহমেদ, গুলজার আহমেদ ও দিলদার আহমেদকে অভিযুক্ত করা হয়।

সূত্র: ইন্ডিপেন্ডেন টেলিভিশন