সবশেষ তথ্য অনুযায়ী, চীনে কোভিড-নাইনটিনে আক্রান্ত হয়ে এখন পর্যন্ত ২ হাজার ৩শ ৪৫জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। বিশ্বজুড়ে আক্রান্তের সংখ্যা ৭৭ হাজারেরও বেশি।
করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ইতালিতে প্রথম এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। দক্ষিণ কোরিয়ায় এক দিনেই আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দ্বিগুণ হয়েছে, দেশটিতে আক্রান্তের সংখ্যা ৩৪০ জন। এছাড়া, প্রথম সংক্রমণের খবর পাওয়া গেছে ইসরায়েল ও লেবাননে। এ পরিস্থিতিতে নতুন করে উদ্বেগ জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।
চীনের উহানের পর করোনাভাইরাসের আতঙ্কে দক্ষিণ কোরিয়ার দায়েগু শহরও অনেকটা ভুতুরে নগরীতে রূপ নিয়েছে। শুক্রবার নতুন আক্রান্ত ১৪৬ জনের ৮৬ জনই দেশটির দক্ষিণের দায়েগুর বাসিন্দা। এ পর্যন্ত মারা গেছেন দুই জন। চীনের মূল ভূখন্ড এবং জাপানের প্রমোদতরীর বাইরে দক্ষিণ কোরিয়াতেই করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি।
ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হয়ে প্রথম একজনের মৃত্যুর খবর জানিয়েছ ইতালি। দেশটিতে আক্রান্তের সংখ্যা ১৬জন। করোনায় আক্রান্ত ব্যক্তি শনাক্ত হয়েছে ইসরায়েল ও লেবাননেও। প্রমোদতরী ডায়মন্ড প্রিন্সেসের যে ১১ জন যাত্রীকে জাপান থেকে ইসরায়েলে ফিরিয়ে নেয়া হয়েছে, তাদের মধ্যে ছিলেন ওই নারী।
জাপানে নতুন করে নয়জনের করোনাভাইরাস ধরা পড়েছে এবং এই রোগে আক্রান্তের সংখ্যা ৭২৬ জনে দাঁড়িয়েছে। আক্রান্তদের মধ্যে ৬৩৯ জনই প্রমোদতরী ডায়মন্ড প্রিন্সেসের আরোহী।
করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে ইরানেও। দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ভাইরাসটির প্রাদুর্ভাব শুরু হয়েছে কওম শহর থেকে। ওই শহরে কাজ করা চীনা শ্রমিকদের কাছ থেকেই এটা ছড়িয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। ইরানে সব মিলিয়ে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৮ জনে। মারা গেছেন চারজন।
পরিস্থিতি সামাল দিতে এখনই সর্বোচ্চ তৎপরতা চালানো জরুরি বলে মনে করছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মহাপরিচালক টেডরস আধানম গেবিয়াসাস। তিনি বলেন, সংক্রমণ ঠেকানো যাবে। তবে সুযোগগুলো ক্রমশ কমে আসছে। তাই সুযোগ পুরোপুরি শেষ হওয়ার আগেই দ্রুত পদক্ষেপ নেয়া জরুরি। সুযোগগুলো নষ্ট হলে সামনে ভয়াবহ বিপদ।
ডিসেম্বরের শেষ দিকে চীনে প্রথম করোনাভাইরাস সংক্রমণ দেখা দেয়ার পর অন্তত ৩০টি দেশে এই রোগ ছড়িয়ে পড়েছে। তবে চীনের মূল ভূখণ্ডের বাইরে আক্রান্তের সংখ্যা এতদিন ছিল তুলনামূলক কম। গত দুই মাসে এ ভাইরাসে মারা গেছেন দুই হাজার তিনশরও বেশি, যাদের মধ্যে চীনের বাইরে রয়েছে ১৫ জন