২০১১ সালের আমেরিকান মুভি নির্মাতা স্টিভেন সোডারবার্গ পরিচালিত কন্টাজিওন একটি মেডিকেল চলচ্চিত্র । এটি একটি উদ্বেগ-উত্কণ্ঠা এবং উত্তেজনা র্পূণ ছবি । গল্পের মূল প্লটটি ফোমাইটস এমইভি-১ নামক এক ধরনের ভাইরাস দ্বারা সংক্রামিত রোগকে নির্দেশ করে বানানো হয়েছে, যা চিকিত্সক গবেষক এবং জনস্বাস্থ্য কর্মকর্তাদের দ্বারা এই রোগ সনাক্তকরণ এবং এটি নির্মূল করার চেষ্টা, মহামারীতে সামাজিক বিশৃঙ্খলা হ্রাস এবং অবশেষে এর বিস্তার আটকাতে একটি ভ্যাকসিনের আবিষ্কার নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। ছবিতে দেখানো হয়, ভাইরাসের কারণে পৃথিবীর প্রায় ২০ শতাংশ মানুষের মৃত্যু হয়। বৈশ্বিক স্বাস্থ্য আতঙ্ক নিয়ে নির্মিত ওই চলচ্চিত্রের সঙ্গেও বর্তমান বিশ্ব পরিস্থিতি মিলে যায়। এছাড়াও ৮/১০ বঃসর আগে প্রকাশিত অনেক বইতে করোনাভাইরাসের পূর্বাভাস পাওয়া যায় ।
কন্টাজিওন ছবিটি দর্শকদের মাঝে ব্যপক প্রশংসিত হয়েছিল, এবং তারা এই ছবির বিভিন্ন অভিনেতা-অভিনেত্রীর অভিনয়ের প্রশংসা করেছিলেন। এটি বিজ্ঞানীদের দ্বারাও বেশ প্রশংসিত হয়েছিল।
সবাইকে অবাক করে দিয়ে আবার ফিরে এসেছে ‘কনটেজিয়ন’। ২০২০ সালে এসে সেটি ‘হিট’ হয়ে ওঠে। চলচ্চিত্রটির গল্প আর বাস্তবতার সঙ্গে অবিশ্বাস্য মিল দেখা গেছে। যুক্তরাষ্ট্রের অ্যাপল আইটিউন স্টোরে সবচেয়ে বেশি ডাউনলোড হওয়া ছবির তালিকায় জায়গা করে নিয়েছে চলচ্চিত্রটি। সেই সঙ্গে গুগল সার্চের তালিকায় শীর্ষে চলচ্চিত্রটির নাম খোঁজার প্রবণতাও বাড়ছে।
যদিও বেশ কয়েক জন তারকাকে নিয়ে চলচ্চিত্রটি তৈরি হয়েছিল, যাদের মধ্যে রয়েছেন ম্যাট ডেমন, গিনেথ প্যালট্রো, জুডি ল, কেট উইনস্লেট এবং মাইকেল ডগলাস, তারপরেও সেটি ওই বছরের ব্যবসায়ের দিক থেকে ৬১তম হয়েছিল।
কনটেজিয়ন চলচ্চিত্র তৈরি প্রতিষ্ঠান ওয়ার্নার ব্রাদারস বলেছে, চীনে যখন প্রথম করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব দেখা দেয়, তখন বিশ্বের জনপ্রিয় চলচ্চিত্রের তালিকায় ‘কনটেজিয়ন’-এর অবস্থান ছিল ২৭০তম। তিন মাস পরে, কনটেজিয়নের জায়গা হয়েছে নবম অবস্থানে। তার সামনে রয়েছে শুধুমাত্র হ্যারি পটার সিরিজের আটটি চলচ্চিত্র। এর একমাত্র কারণ করোনাভাইরাস। প্রায় এক দশক আগে তৈরি চলচ্চিত্রটির কাহিনীর সঙ্গে বর্তমান করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের অনেক মিল রয়েছে।
৬০ মিলিয়ন ডলার-এর বাজেটে,বাণিজ্যিকভাবে ছবিটি ১৩৫ মিলিয়ন ডলার আয় করে। যা ব্যবসাসফলতা না হলেও মোটামুটি সফলতা পেয়েছিল।