রোববার ৩১ মে বেলা ১১ টা সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে ফেসবুক লাইভের মাধ্যমে মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) ও সমমানের পরীক্ষার ফলপ্রকাশর তথ্য জানান শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি। এ সময় শিক্ষাবোর্ডগুলোর চেয়ারম্যানেরা শিক্ষামন্ত্রীর হাতে ফলাফলের কপি তুলে দেন। এর আগে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে যুক্ত হয়ে ফলপ্রকাশ কার্যক্রম উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
নয়টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ড, মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড এবং কারিগরি শিক্ষা বোর্ডে এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় ঘোষিত ফলাফলে গড়ে ৮২ দশমিক ৮৭ শতাংশ শিক্ষার্থী পাস করেছে। গত ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠিত এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় সবগুলো বোর্ডে অংশ নিয়েছেন মোট ২০ লাখ ৪০ হাজার ২৮ জন শিক্ষার্থী। যার মধ্যে ১৬ লাখ ৯০ হাজার ৫২৩ জন শিক্ষার্থী পাস করেছে।
এসএসসির সাধারণ শিক্ষা বোর্ডের মধ্যে রাজশাহীতে পাসের হার ৯০.৩৭ শতাংশ, জিপিএ-৫ পেয়েছে ২৬ হাজার ১৬৭ জন।যশোর বোর্ডে পাসের হার ৮৭.৩১, জিপিএ-৫ পেয়েছে ১৩ হাজার ৭৬৪ জন।কুমিল্লা ৮৫.২২, জিপিএ-৫ পেয়েছে ১০ হাজার ২৪৫ জন। চট্টগ্রাম বোর্ডে বোর্ড পাশের হার ৮৪.৭৫ , জিপিএ-৫ পেয়েছে ৯ হাজার ৮ জন,দিনাজপুর বোর্ডে বোর্ড পাশের হার ৮২.৭৩ , জিপিএ-৫ পেয়েছে ১২ হাজার ৮৬ জন।ঢাকা বোর্ডে পাসের হার ৮২.৩৪, জিপিএ-৫ পেয়েছে ৩৬ হাজার ৪৭ জন, ময়মনসিংহ বোর্ডে পাশের হার ৮০.৩১, জিপিএ-৫ পেয়েছে ৭ হাজার ৪৩৪ জন।বরিশাল বোর্ড পাশের হার ৭৯.৭০, জিপিএ-৫ পেয়েছে ৪ হাজার ৪৮৩।সিলেট বোর্ড পাশের হার ৭৮.৭৯ , জিপিএ-৫ পেয়েছে ৪ হাজার ২৬৩ জন।
এছাড়া মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডে পাস করেছে ৮২.৫১ শতাংশ এবং কারিগরি শিক্ষা বোর্ডে পাস করেছে ৭২.৭০ শতাংশ শিক্ষার্থী।
এ বছর এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা শুরু হয় গত ৩ ফেব্রুয়ারি। লিখিত পরীক্ষা শেষ হয় ২৭ ফেব্রুয়ারি। আর ব্যবহারিক পরীক্ষা ২৯ ফেব্রুয়ারি শুরু হয়ে শেষ হয় ৫ মার্চ। নিয়ম অনুযায়ী পরীক্ষা শেষ হওয়ার দুই মাসের মধ্যে ফল ঘোষণা করার কথা। কিন্তু করোনা পরিস্থিতির কারণে ফল প্রকাশে কিছুটা বিলম্ব হলো।