উর্ধ্বমুখী সংক্রমণের মধ্যেই ৬৬ দিন পর কাজে ফিরলো দেশের মানুষ

0
589

দেশে গত কিছুদিন করোনাভাইরাস সংক্রমিত রোগী শনাক্তের সংখ্যা বাড়ার মধ্যদিয়ে  আজ মে ৩১ থেকে উন্মুক্ত হয়েছে সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান খুলছে সব ধরণের কার্যক্রম। টানা ৬৬ দিনের বেশি সময় ধরে বন্ধ থাকার পর চালু হয়েছে ট্রেনও। আগামীকাল থেকে চালু হতে যাচ্ছে বাস ও বিমান।

এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে, স্বাস্থ্যবিধি মেনে সীমিত পরিসরে সব ধরণের সরকারি-বেসরকারি অফিস, গণপরিবহন এবং জনসাধারণের চলাচলে কঠোরতা উঠিয়ে নেয়ার মতো সিদ্ধান্তের অনুমোদন। এ সম্পর্কিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, জরুরি প্রয়োজন ছাড়া এই সময়ের মধ্যে রাত ৮টা থেকে সকাল ৬টা পর্যন্ত ঘর থেকে বের হওয়া যাবে না। এর আগে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রুখতে গত ২৬শে মার্চ থেকে সাধারণ ছুটি ঘোষণা করে সরকার। এর পর কয়েক দফায় এই ছুটি বাড়িয়ে সবশেষ ৩০শে মে পর্যন্ত সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়।

সরকারি ঘোষণা অনুযায়ী, গণপরিবহনে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে যানবাহনে অর্ধেক যাত্রী পরিবহনের কথা বলা হয়েছে। যার জের ধরে বাস ভাড়া ৮০ শতাংশ বাড়ানোর ঘোষণা এসেছে। তবে এরই মধ্যে গণপরিবহনের বাড়তি ভাড়া নির্ধারণ নিয়ে সমালোচনা দেখা দিয়েছে।

এদিকে, এমন এক সময়ে সব কিছু খুলে দেয়া হচ্ছে যখন করোনাভাইরাস শনাক্ত এবং মৃত্যুহার দুটোই বেড়েছে। গত কিছুদিনে বাংলাদেশে নমুনা পরীক্ষা বৃদ্ধির পাশাপাশি কোভিড-১৯ আক্রান্ত রোগী শনাক্তের সংখ্যাও বেড়েছে। রবিবার ৩১ মে দেশে একদিনে সর্বোচ্চ ৪০ জন করোনাভাইরাস আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন। গত ২৪ ঘণ্টায় ২,৫৪৫ জনের দেহে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। মারা যাওয়া ৪০ জনের মধ্যে ৩৩ জনই পুরুষ।নতুন করে সুস্থ হয়েছেন ৪০৬ জন আর মোট সুস্থ হওয়া মানুষের সংখ্যা ৯,৪৮১ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় ১১ হাজার ৮৭৬ টি নমুনা পরীক্ষা করে এই তথ্য জানা গেছে বলে নিয়মিত স্বাস্থ্য বুলেটিনে জানান স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক নাসিমা সুলতানা। নমুনা পরীক্ষার অনুপাতে শনাক্তের হার ২১.৪৩ ভাগ। আর শনাক্ত বিবেচনায় মৃত্যুর হার ১.৩৮ শতাংশ।

শনিবার করোনাভাইরাসে নতুন করে আক্রান্ত হয় ১,৭৬৪ জন। এই সময়ে মারা যায় ২৮ জন। আর এর আগের দিন শুক্রবার সবচেয়ে বেশি সংখ্যক ২৫শর বেশি মানুষ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয় বলে জানায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এ নিয়ে বাংলাদেশে কোভিড-১৯ আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়ালো ৬৫০ জনে। মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৪৭ হাজার ১৫৩ জন।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, বিশ্বে ১৮৫টি দেশে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। তার মধ্যে ৮২টি দেশ পুরোপুরি বা আংশিকভাবে লকডাউন প্রয়োগ করেছে। কিন্তু এই লকডাউনে পুরো অর্থনীতি অচল হয়ে পড়ার কারণে বিশ্বের অনেক দেশ লকডাউন শিথিল করার কথা ভাবতে শুরু করে। এরই মধ্যে স্পেন, জার্মানি, দক্ষিণ কোরিয়াসহ কিছু দেশ বেশ কিছু কড়াকড়ি শিথিল করেছে।