গণতন্ত্র শুধু নির্বাচন নয়, আমেরিকা তাই জানিয়ে দিল !

0
444

প্রায় চার লক্ষ্  আমেরিকান কোভিড-১৯-এ মারা গেছে, যা বিশ্বব্যাপী করোনায় মৃত্যুর তিরিশ শতাংশ এবং একক দেশ হিসেবে প্রথম। এই সংখা প্রতিদিন বাড়ছে । আমেরিকার হাসপাতালের আই সি ইউ-তে বেড পাওয় কঠিন হয়ে পড়ছে। টিকা তৈরী হলেও পরিকল্পিত সরবরাহ ব্যবস্থাপনা না থাকায় টিকা দেওয়া বিলম্বিত হচ্ছে । করোনা ভাইরাস আমেরিকার স্বাস্থ্য বিভাগকে মারাত্বক বিপদজনক অবস্থায় ঠেলে দিয়েছে । আর্থিক অবস্থাও তেমন ভাল নয়। বেকারত্বের সংখ্যা দিনদিন বাড়ছে যা কয়েক দশকের রেকর্ড ভঙ্গ করেছে। বিনামুল্যে খাবারের জন্য ঘন্টার পর ঘন্টা লাইনে দাড়িয়ে আছে মানুষ । অভিবাসনের দেশে অভিবাসীরা কোনঠাসা। সবকিছু যেন লন্ড ভন্ড হয়ে আছে । স্বপ্নের দেশ দু:স্বপ্নে পরিনত হয়েছে ।

এরই মধ্যে ৬ই জানুয়ারী কংগ্রেস ভবনে হামলা করে অভূতপূর্ব চমক দেখিয়ে দেয় ট্রাম্পপন্থী সমর্থকরা,অধিবেশন চলা কালিন কংগ্রেস ভবনে প্রবেশ করে হামলা কারিরা । আইন প্রনেতারা তাদের জীবন বাচাঁতে ভয়ে নিরাপত্তার জন্য নিরাপদে লুকিয়ে ছিল । এই কংগ্রেস ভবনটিতে উর্ধ্ব কক্ষ সিনেট এবং জন প্রতিনিধিদের জন্য নিম্নকক্ষ রয়েছে । এই ভবনটি আমেরিকান সার্বভৌমত্বের শক্তি এবং শালীনতার একটি স্বীকৃত প্রতীক । এ হামলা প্রমান করে দেয় যে, র্স্পস কাতর এই জায়গাগুলিতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র কতটা অরক্ষিত,  যা  মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাম্প্রতিক ইতিহাসের সবচেয়ে বড় ঘাটতি । যে কারনে, ছয়টি প্রান ঝরে পড়লো, যার মধ্যে কতর্ব্যরত পুলিশও ছিল ।

বিশ্ববাসি দেখেছে, আমেরিকানরা দেখেছে ভয়াবহতা, আর এই ভয়াবহতা এত ভয়ঙ্কর ছিল যে, নব্য-নাৎসিরা দ্রুত কংগ্রেস সুরক্ষায় নিয়োজিত নিরাপত্তা বাহিনীকে পরাভূত করে ভবন দখলে নেয় । উর্ধ্ব কক্ষ, নিম্নকক্ষ , স্পিকার অফিস সহ সকল কক্ষে প্রবেশ করে তছনছ করে দেয় এবং দীর্ঘ পাঁচ ঘন্টা ব্যাঘাত ও অবরুদ্ধয় ছিল। ১৮১৪ সালে ব্রিটিশ সৈন্যবাহিনী ওয়াশিংটন ডিসির প্রতিরক্ষা ভেদ করে মশাল এবং গান পাউডার দিয়ে এই ক্যাপিটল ভবন, প্রেসিডেন্টের বাসস্থান এবং অন্যান্য সরকারি দফতর পুড়িয়ে দেয়।”

৬ জানুয়ারির এই হামলা রাশিয়ার সাইবার হামলাকারীচক্র, চীনা গোয়েন্দা বাহিনী কিংবা তথাকথিত জিহাদি গোষ্ঠির যড়যন্ত্রের ফসল নয়। খোদ যুক্তরাষ্ট্রের একজন বিদায়ী প্রেসিডেন্ট তার সমর্থকদের উস্কে দিয়ে এই হামলার ঘটনা ঘটিয়েছেন যা যুক্তরাষ্ট্রের ২০০ বছরের গণতান্ত্রিক ইতিহাসে নজীরবিহীন।

বিদায়ী ৪৫তম রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রাম্প যিনি এর আগে তাঁর সমর্থকদের ক্যাপিটালে যাত্রা করার আহ্বান জানিয়েছিলেন এবং ভোটার জালিয়াতির কারণে নির্বাচন হেরেছে বলে তার দাবি পুনরাবৃত্তি করেছিলেন । প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে পরাজিত হয়েও কারচুপি করে তাকে হারানোর অভিযোগ তুলে ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য সব কিছুই করেছেন ট্রাম্প।  অদালতে ৬০টি নির্বাচনী মামলা করে সবকটিতেই হেরেছেন । প্রদেশগুলির নির্বাচনী কর্মকর্তরা অনেকে তাঁর দলের সদস্য তারাঁরও নিরপেক্ষ নিবাচনের কথা বলছেন । নজিরবিহীন নিছিদ্র নির্বাচনী ব্যবস্থাপনার কথা এফবিআই ঘোষনা করেছে । তারঁই মন্ত্রনালয় হোম ল্যান্ড এবং আইন মন্ত্রনালয় থেকে সুষ্ট হয়েছে বলে ঘোষনা করেছে । তারপরও সেদিন ওয়াশিংটনের ডিসি-তে হামলাকারিদের উচ্চস্বরে এবং স্পষ্টভাবেই অনুরোধ করেছিলেন যেন তারা চুপ করে চলে না যায়, বরং দেশকে ফিরিয়ে আনার জন্য লড়াই করার আহবান করেছে। এতে ছয় আমেরিকান নিহত, কংগ্রেস ভবন আক্রমণ ভাংছুর , কক্ষ তছনছ করে দেওয়া হয় । বিশ্ব হতভাগ হয়ে দেখলো কিভাবে ট্রাম্প-এর স্বার্থপরতা এবং অসত্য বুলিদিয়ে আমেরিকান মানুষের মুখে তাঁর ইচ্ছাটা ঢুকিয়ে দিলেন, ক্ষমতায় থাকার জন্য ক্যু করার চেষ্টা করলেন। আমেরিকানরা দুইভাগে পরিণত হলো ।

উভয় পক্ষের আইন প্রণেতারা প্রকাশ্যে বিদায়ী রাষ্ট্রপতিকে তাঁর সমর্থকদের দ্বারা সৃষ্ট বিশৃঙ্খলার বিরুদ্ধে জোরালোভাবে কথা বলার আহ্বান জানানোর পরে ট্রাম্প একটি ভিডিও টুইট করেছেন যাতে তিনি সমর্থকদের বাড়িতে যেতে বলেছেন তবে তিনি নির্বাচন চুরি হয়েছে বলে দাবি পুনরাবৃত্তি করেছিলেন। যুক্তরাষ্ট্রের  রাজনৈতিক এ সঙ্কট এর নাগরিকরা কখনও দেখেনি বা প্রত্যাশাও করেনি যা দেশটিকে কাঁপিয়ে দিয়েছে । তিনি নিজে যে হিংস্রতা উস্কান দিয়ে আসছিলেন তা তার সীমার বাইরে চলে গেছে । ভেনেজুয়েলার রাষ্ট্রপতি উপহাস করে বলেছেন, এটি একটি লক্ষণীয় দিন , মার্কিনরা গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত সরকারকে উল্টে দেওয়ার জন্য বিদেশে প্রায়শই আলোড়ন সৃষ্টি করে । আর এখন তারা ঘরে বসেই এই বিশৃঙ্খলা ভোগ করছে ।

বিবিসিতে এক সাক্ষাতকারে প্রাক্তন ন্যেটোর সর্বোচ্চ মিত্র কমান্ডার অ্যাডম জেমস স্ট্যাভ্রিডিস বলেন, ”যুক্তরাষ্ট্রের জন্য রাজধানী দাঙ্গা ছিল এক অন্ধকারের দিন। ট্রাম্পপন্থী সমর্থকদের দ্বারা যে হামলা হয়েছিল তা ছিল আমাদের দেশের গণতন্ত্রের সর্বোচ্চ মন্দিরের নিখুঁত অবমাননা,” বিশ্ব দরবারে সম্মান পূর্ণপ্রতিষ্ঠা করতে দশ বৎসরের মত সময় লাগবে বলে মনে করেন এই সামরিক কর্মকর্তা ।

হামলার মূল কারন ছিল, জো বাইডেনের নাম নতুন মার্কিন রাষ্ট্রপতি হিসেবে ঘোষনায় প্রতিবন্ধকতা করা আর কংগ্রেস যেন ট্রাম্পকেই জয়যুক্ত করে। যদিও কংগ্রেস ৪৬তম মার্কিন রাষ্ট্রপতি হিসাবে জো বাইডেনের নির্বাচন নিশ্চিত করার জন্য প্রক্রিয়া শেষ করতে পেরেছিল। কংগ্রেস শেষ পর্যন্ত তাকে থামিয়ে দিয়েছে। ট্রাম্প সমর্থকদের সশস্ত্র হামলার মুখেও নিজেদের সিদ্ধান্তে অটল থেকে কংগ্রেস নিবাচনে বিজয়ী ডেমোক্রেট প্রার্থী জো বাইডেনের বিজয়কে অনুমোদন বা সত্যায়ন করেছে। এটিই ছিল ডোনাল্ড ট্রাম্পের সর্বশেষ  ট্রাম্প র্কাড । কারন তার ধারনা ছিল তাঁর ভাইস-প্রেসিডেন্ট যেহেতু উচ্চকক্ষের প্রেসিডেন্ট এবং তিনিই প্রতিনিধি পরিষদের ফলাফল ঘোষনা করবেন যে ভাবে জনসমাগমে ভাইস-প্রেসিডেন্ট বলেছিলেন ট্রাম্পে আসস্থই হয়ে ছিলেন । কিন্তু বিবেক আর সংবিধানের কাছে হার মেনে শেষ পর্যন্ত বেঁচে গেছে যুক্তরাষ্ট্রের গণতন্ত্র ও নির্বাচনব্যবস্থাকে বাছিঁয়ে দিলেন ভাইস-প্রেসিডেন্ট । আর পরাজিত হয়েছে স্বেচ্ছাচারিতা, উগ্র বর্ণবাদী ও অগণতান্ত্রিক মানসিকতার।

তবে বিশৃঙ্খলার ধুঁয়াশা এখনও শেষ হয়নি। এটি সত্য যে পঞ্চাশটি প্রদেশেই তা ছড়িয়ে পড়েতে পারে। পরিস্থিতি এতই বহাবহ যে, সবপ্রদেশের রাজধানীতে সেনা মোতায়ন করা হয়েছে । যুক্তরাষ্ট্রের রাজধানিতে পচিঁশ হাজার সেনা মোতায়ন করে জরুরি অবস্থা জারি করা হয়েছে । নির্বাচিত জন প্রতিনিধিরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে । এফবিআই সারা দেশে রেড এলার্ড জারি করেছে। বড় বড় সামাজিক মাধ্যম বিদায়ী মার্কিন রাষ্ট্রপতিকে ব্লক করে রেখেছে ।

এটি একটি সঙ্কট, তবে এটি কেবলমাত্র ২০২০ সালের নির্বাচনের কারণে তৈরি হয়নি, বা কেবল ট্রাম্পের সময়েও হয়নি। শাসনের এই সংকট কয়েক দশক ধরেই চলছে। যা ২০২১ সালের ৬ জানুয়রীতে বিষ্ফোরিত হয়েছে। মার্কিন গণতন্ত্র ৯ / ১১-এর পর থেকে মারাত্মক সমস্যায় পড়েছে।

শক্তিশালী গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান এবং স্বীকৃতির কারণে যুক্তরাষ্ট্রের গণতন্ত্র এখনও মারাত্মক বিপদে হয়তো পড়নি ,বিশেষত এর বিচার বিভাগের কারনে । যদি এ হামলা অন্য কোন দেশে ঘটতো, তা সারা দেশে ছড়িয়ে পড়তো এবং সরকারের সহজ পতন হতো । তবে আপাতত আমেরিকা হয়তো নিরাপদে, তবে আর কত দিন? অনেকে মনে করেন আমেরিকার গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় মধ্যে ফাটল না ধরলেও ফাটলের দাগ পড়েছে । সবকিছু মিলে ইতিহাসে প্রথমবারের মতো আমেরিকানরা অশান্তিতে এবং জাতিগত বৈষম্য ও বিভাজনের কারনে উত্তেজনা সর্বকালের শীর্ষে; দীর্ঘ ইতিহাস আমেরিকান গণতন্ত্র আজ প্রশ্নবিদ্য ও হুমকিতে পরিণত হয়েছে। ইউরোপ সহ আমেরিকার সাথীরা হতভম্ব !

সম্প্রতি বছরগুলিতে আমেরিকান রাজনৈতিক সংস্কৃতিতে তাদের ক্ষতিকর প্রভাবের জন্য সোশ্যাল মিডিয়াকে দোষ দেওয়া হয়েছে। কারণ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের বদান্যতায় এটি এখন আগের চেয়ে অনেক বেশি দৃশ্যমান । এই অর্থে যে যুক্তরাষ্ট্র এখন জাতিগত এবং বর্ণ বৈষম্য চরম পর্যায়ে পোঁছেছে । নাগরিক মূল্যবোধ স্থগিত হয়েছে, অবাধ নির্বাচন অনুষ্ঠিত করতে ব্যর্থ। মহমারীকালীন নিজ দেশে অব্যবস্থাপনা এবং বিশ্বকে নেতৃত্ব দিতে ব্যর্থ । যারফলে আমেরিকার গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা দুর্বল হচ্ছে, কারণ এর নাগরিকরা বিশ্বাস করেছে যে এর মূল প্রতিষ্ঠানগুলি তাদের পক্ষে কাজ করছে না। শাসকদলের “অভ্যুত্থান” আমেরিকাতে কি কখনও কল্পনা করা যেতে পারে?

গণতন্ত্র শুধু নির্বাচন করাকে বুঝায় না । বরং অনেকগুলি কারণ রয়েছে যা সুষ্ট গণতন্ত্রের জন্য গণতন্ত্রের কাজকে এবং প্রতিষ্ঠানগুলিকে প্রভাবিত করে । নাগরিক স্বাধীনতা প্রতি সম্মান এবং জনগন তাদের দেশের গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার প্রতি বিশ্বাস রাখে। এই জিনিসগুলি ক্ষয় হওয়ার সাথে সাথে গণতন্ত্র দুর্বল হয়ে পড়ে। আমেরিকান গণতন্ত্র হয়তোবা এখনই শেষ হচ্ছে না, তবে এটি যেভাবে হওয়া উচিত তার কার্যকারিতা দুর্বল হচ্ছে, যা সুশিল সমাজ এবং বিশ্ব নেতারদর ভাবিয়ে তুলছে। আইনের শাসনে চলমান আক্রমণ, সত্য-ভিত্তিক সাংবাদিকতা এবং গণতন্ত্রের অন্যান্য নীতি ও নিয়ম আরও হ্রাসের হওয়ার সম্ভাবনা থাকে । এমনকি যাদের সাথে ট্রাম্প জনপ্রিয় রয়েছেন, ৬ জানুয়ারী ২০২১ ঘটনাগুলি অবশ্যই আমেরিকার গণতন্ত্রের জন্য একটি টার্নিং পয়েন্ট  হিসেবে চিহ্নিত হবে !

ভুমন্ডলে এবং ইতিহাসের পাতায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সবচেয়ে সফল সাংবিধানিক প্রজাতন্ত্র হিসেবে স্থান রয়েছে। এই দেশ এবং রাষ্ট্রপতি পৃথিবীর অনেক দেশের জন্য একটি গণতন্ত্রের প্রতীক। ৬ জানুয়ারী কোন গণতন্ত্রান্ত্রিক প্রতিবাদ ছিল না; এটি ছিল নির্বাচনী জনগণের ভোটের প্রতিফলনের বিরুদ্ধে একটি অভ্যুত্থান। হামলাকরিদের মধ্যে সাবেক-বর্তমান সামরিক কর্মকর্তা, পুলিশসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের বড় কর্তাব্যক্তিরাও ছিল যা বুঝা যায় এটি ছিল একটি পরিকল্পিত হামলা। ট্রাম্প নিজেই নির্বাচনের আগে থেকেই বিভিন্ন ভাবে বলে আসছিলেন । ট্রাম্প প্রশাষনকে ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান হিসেবেই দেখতেন। ক্যাপিটল হিল ষড়যন্ত্র ব্যর্থ হওয়ায় সহিংসতা ও রক্তপাতের মধ্য দিয়ে শেষ হলো ডোনাল্ড ট্রাম্পের ক্ষমতার মেয়াদ। এর মাধ্যমে প্রমাণিত হয়েছে, অস্ত্র বা পেশি শক্তি দিয়ে গণতন্ত্রের অগ্রযাত্রা রোধ করা যায় না।

আমেরিকান সংবিধানের ভাষায় যদি বলতে হয়, ন্যায়বিচার সবার জন্য এবং কেউই এর উর্ধ্বে নয় । তাইতো আমেরিকার ইতিহাসে তৃতীয় প্রেসিডেন্ট হিসেবে প্রতিনিধি পরিষদে দ্বিতীয়বার অভিশংসিত হলেন আমেরিকা ৪৫তম রাস্টপতি ডোনাল্ড ট্রাম্প । এ পযর্ন্ত ২৭৬ জন হামলাকরিীর বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে । অনেক আইন প্রণেতা এই বিদ্রোহকে প্ররোচিত করেছিল। আন্দোলন উষ্কে দিয়েছে সেই সকল জনপ্রতিনিধিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ খোজাঁ হচ্ছে । এটাই একটি স্বাধীন দেশের বৈশিষ্ঠ । গনতন্ত্রের সৌন্দর্য । প্রাতিষ্ঠানিক অবকাঠামোর কারনেই ক্ষমতায় থেকেও সবচেয়ে ক্ষমতাবান ব্যক্তি ডোনাল্ড ট্রাম্প ক্ষমতাবানহীন ।

৬ই জানুয়ারির ছায়া আমেরিকা জুড়ে দীর্ঘ সময় ধরে থাকবে। এর ক্ষয়কারী প্রভাব ৪৬তম মার্কিন রাষ্ট্রপতি থাকার পরেও বহাল থাকবে আগামীতে ! আর্ন্তজতিক অঙ্গনে আমেরিকা ভাবমূর্তি পূণউদ্দার করতে বেশ কিছু সময় লেগে যাবে । কিন্তু যেভাবে জাতিগত এবং বর্ণ বৈষম্য চরম পর্যায়ে পোঁছেছে  তা কি ঠেকানো যাবে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা কি নতুন করে সংজ্ঞায়িত হবে  !

লেখকসরওয়ার জাহান, প্রতিষ্ঠাতা, প্রফেসর সাদার্ন ইউনিভার্সিটি এবং টেকসই উন্নয়ন কর্মী  sjahan@southern.edu.bd