ধন্যবাদ
সেলিম কোরেশী
আমি বলি তোমাকে করুনাময়;
তারা বলে তুমি প্রতিহিংসাময়,
তাদের কথায় আছে ধার, আমি ধার দারিনা ওসবের।
আজ ভোরেও আবার সবাই গেয়ে গেলো তোমার জয়গান;
এসেছিলো তাঁরা উপসনালয়ের কাটগড়ায় ,
নদীর পারে গঙ্গা স্নানে , গির্জার নতজানুতে , সেজদার কাতরে কাতারে
শান্তির জন্য কুমীরঅশ্রুতে।
তারাও এসেছিল পাখি হয়ে গান গেয়ে গেয়ে ,
তোমার স্তব উটেছিল ধীর হতে জোরে
জলজের ধড় হতে , ঢেউএর ভাঙ্গন হতে , বৃশ্চিকের বিষ হতে ,
সিংহের বুক ফাটানো আর্তনাদ হতে ,
তেলোয়ারের ধার থেকে , ফাঁসির রজ্জু হতে ,
ছুনামির ফেনা হতে , লাভার লাল হতে ,
ভুমিকম্পের অপরাধী লুন্টন হতে ,
সাইক্লোনের কালো চোখের আভরণ হতে ।
শুনেছিলে কি সকল নিনাদ আর আরাধনার বহ্নি শিখার মাতম ।
গোলাপের বুকে কি তাই তুলে এনেছিলে মৌমাছি
কান্সারের প্রকৌস্টের কোষকে দিয়েছিলে শেফালি ফুলের গোপন সুবাস।
আবার তুমিই কি বলেছিলে বানাও বারুদ
ভরে দাও তারপর ইস্পাতের নলে নলে;
করেছিলে কি তাই মরুভুমিকে রক্তের লোহিত সাগর,
রায়ের বাজারের বধ্যভুমিতে বরেণ্য যুবতী লেখিকার দেহে অশালীন শবের স্রোত ।
লাশের মিছিলের অভ্যন্তরে কেন খেলেছিলে নিয়ে যৌবন;
কেন ঘাতক কে দাও সিংহাসন ।
কবিতা পড়া প্রেমিকাকে করে তোলো বিশ্বাস ঘাতক ।
তবুও করে যাই প্রশংসা তোমার
সকাল সন্ধ্যায় ধর্মের আলোয়ান পরে ।
এনে দিও শুধু ফুলের সুভাস আর শান্তির পায়রা ।
সেলিম কোরেশী; ডালাস