মডেল পিয়াসা ও মৌকে গ্রেপ্তার

0
344

মডেল পিয়াসা ও মৌকে গ্রেপ্তার

গতকাল রোববার আগস্ট ১, ২০২১ রাত ১০টার দিকে রাজধানীর  বারিধারার একটি বাসায় অভিযান চালিয়ে রেইনট্রি হোটেলে দুই বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রী ধর্ষণের শিকার হওয়ার ঘটনায় আলোচিত মডেল ফারিয়া মাহবুব পিয়াসার বারিধারার বাসায় অভিযান চালায় ডিএমপির গোয়েন্দা বিভাগ। তার বাসা থেকে বিদেশি মদ, ইয়াবা ও সিসা উদ্ধার করা হয়। পিয়াসার দেওয়া তথ্যে মোহাম্মদপুরে বাসায় অভিযান চালিয়ে ইয়াবাসহ মডেল মরিয়ম আক্তার মৌকে আটক করেছে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।ডিবি উত্তরের যুগ্ম কমিশনার হারুন-অর রশীদ বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন কিছু সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে এই অভিযান পরিচালনা করা হয়। পিয়াসাকে রাত পৌনে ১২টার দিকে এবং রাত ১টার দিকে মৌকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডিবি কার্যালয়ে নেওয়া হয়েছে বলে জানায় পুলিশ।

ডিএমপির যুগ্ম কমিশনার মোহাম্মদ হারুন অর রশিদ সাংবাদিকদের বলেন, পিয়াসা ও মৌয়ের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ রয়েছে। পিয়াসা বারিধারার একটি ফ্ল্যাটে থাকেন। আর মৌ থাকেন মোহাম্মদপুরে। তাঁরা দুজন একই চক্রের সদস্য। তাঁদের বিরুদ্ধে উঠতি বয়সের ছেলেদের নিয়ে এসে মাদকদ্রব্যাদি সেবন করিয়ে আপত্তিকর ছবি তোলার অভিযোগ রয়েছে। এরপর ব্ল্যাকমেল করে ভুক্তভোগী ব্যক্তিদের কাছ থেকে টাকা আদায় করতেন এই দুই নারী।

অভিযানকালে পিয়াসার ঘরের টেবিল থেকে চার প্যাকেট ইয়াবা, রান্নাঘরের ক্যাবিনেট থেকে ৯ বোতল বিদেশি মদ, ফ্রিজে একটি আইসক্রিমের বাক্স থেকে সিসা তৈরির কাঁচামাল এবং বেশ কয়েকটি ই-সিগারেট পাওয়া গেছে। এছাড়া পিয়াসার কাছ থেকে ৪টি স্মার্টফোন জব্দ করেছে গোয়েন্দা পুলিশ। অভিযান শেষে গোয়েন্দা পুলিশের নারী সদস্যদের মাধ্যমে পিয়াসাকে একটি মাইক্রোবাসে তুলে ডিবি কার্যালয়ে নেওয়া হয়েছে।

ডিবির কর্মকর্তা বলেন, আটক দুই মডেল হচ্ছেন রাতের রাণী। তারা দিনের বেলায় ঘুমাতেন এবং রাতে এসব কর্মকাণ্ড করতেন। মডেল পিয়াসা ও মৌ সংঘবদ্ধ একটি চক্র। উচ্চবিত্ত পরিবারের সন্তানদের পার্টির নামে বাসায় ডেকে আনতেন তারা। বাসায় আসলে তারা তাদের সঙ্গে আপত্তিকর ছবি তুলতেন এবং ভিডিও করে রাখতেন। পরবর্তীতে সেসব ভিডিও এবং ছবি ভিকটিমদের পরিবারকে পাঠানোর হুমকি দিয়ে ব্ল্যাকমেইল করতেন এবং মোটা অঙ্কের অর্থ হাতিয়ে নিতেন।

২০১৭ সালে বনানীর রেইনট্রি হোটেলে দুই বিশ্ববিদ্যালয়ছাত্রী ধর্ষণের ঘটনার সময় মডেল পিয়াসার নাম উঠে আসে। ওই মামলায় তিনি নিজেকে অভিযুক্ত আসামি শাফাত আহমেদের স্ত্রী হিসেবে দাবি করেছিলেন। ওই মামলার সাক্ষীর তালিকায় পিয়াসার নাম রয়েছে। যদিও আদালতে সাক্ষ্য দিতে যাননি তিনি।

গুলশান থানায় করা মাদক মামলায় পিয়াসাকে আদালতে হাজির করে ১০ দিন এবং মোহাম্মদপুর থানায় করা মামলায় মৌকে ১০ দিনের রিমান্ড চেয়ে পুলিশ আবেদন করে। আদালত উভয় পক্ষের বক্তব্য শুনে সোমবার আগস্ট ২, ২০২১ পিয়াসাকে তিন দিন ও মৌকে তিন দিন করে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করার আদেশ দেন ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালত।