দেশকে গড়ে তোলার দায়িত্ব সবার: প্রধানমন্ত্রী

0
440

 

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, দেশকে গড়ে তোলার দায়িত্ব সবার। আসুন আমরা সবাই মিলে দেশকে গড়ে তুলি। আগামী প্রজন্মের ভবিষৎ গড়ার জন্য আমরা পরিকল্পনা করেছি। তাদের জীবন সুন্দর করার জন্য ডেল্টা প্লান ২১০০ আমরা বাস্তবায়ন করছি।

রোববার দুপুর ১টার দিকে চট্টগ্রামের ভাটিয়ারিতে অবস্থিত বাংলাদেশ মিলিটারি একাডেমিতে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ৭৭তম বিএমএ দীর্ঘমেয়াদী কোর্সের প্রশিক্ষণ সমাপ্তি ও অফিসার ক্যাডেটদের কমিশনপ্রাপ্তি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।

এর আগে সকাল ১১টার দিকে কুচকাওয়াজে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত হন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি প্যারেড পরিদর্শন করেন। পরে তিনি কৃতি ক্যাডেটদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করনে ও বক্তব্য রাখেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, একটি স্বাধীন ও সর্বভৌম দেশের সামরিক বাহিনীর গুরুত্ব অপরিসীম ও অনস্বীকার্য। জাতিরজনক ভাটিয়ারিতে এ মিলিটারি একাডেমির ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন ও পরে উদ্বোধন করেছিলেন। তিনি প্রতিরক্ষা নীতিমালা প্রণয়ন করেন। আমরা সরকারে আসার পর ফোর্সেস গোল ২০৩০ প্রনয়ন করেছি। সামরিক বাহিনীকে আন্তর্জাতিক মানের করতে আমরা কাজ করেছি। জাতির পিতা চেয়েছিলেন সারা বিশ্বে এ বাহিনী সব চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হবে সেটা এখন সম্ভব হয়েছে।

সরকার প্রধান বলেন, সেনাবাহিনীতে নারীদের অংশগ্রহণ আমরা নিশ্চিত করেছি। সেনাবাহিনী থাকবে যুগোপযুগী ও আধুনিক। আমাদের সেনাবাহিনী জাতিসংঘের শান্তি মিশনেও কৃতৃত্ব রেখেছে। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের সস্বস্ত্র বাহিনীর সঙ্গে কাজ করছে। আমাদের সেনাবাহিনী অত্যন্ত চৌকস। আমরা তাদের দক্ষ করতে সক্ষম হয়েছি।

দেশে অর্থনীতি এগিয়ে যাচ্ছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা দারিদ্র্যতা ২০ ভাগে নামিয়ে আনতে সক্ষম হয়েছি। দেশক অর্থনৈতিকভাবে এগিয়ে নিতে সক্ষম হয়েছি। মাথাপিছু আয় বৃদ্ধি করেছি। আমরা এ দেশকে ক্ষুধা ও দারিদ্র্য মুক্ত জাতি পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ে তুলতে এগিয়ে যাচ্ছি।

এই অনুষ্ঠানের মাধ্যমে ২৩৪ জন বাংলাদেশি, ২৯ জন সৌদি, একজন ফিলিস্তিনি, একজন শ্রীলংকানসহ মোট ২৬৫ জন ক্যাডেট কমিশন লাভ করেন। বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে কমিশনপ্রাপ্ত ক্যাডেটদের মধ্যে ৭৭তম বিএমএ দীর্ঘমেয়াদী কোর্সে ২০৭ জন পুরুষ, ২৭ জন নারী ক্যাডেট রয়েছেন।

প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে রাষ্ট্রপতি কুচকাওয়াজে সেনা, নৌ ও বিমানবাহিনী প্রধান, আঞ্চলিক অধিনায়কসহ ঊর্ধ্বতন সামরিক-বেসামরিক কর্মকর্তা, মন্ত্রী-সংসদ সদস্য, কূটনীতিক ও শিক্ষা সমাপনী ব্যাচের কমিশনপ্রাপ্ত ক্যাডেটদের অভিভাবকরা উপস্থিত ছিলেন।