ক্রিপ্টো কারেন্সি ব্যবহারে ফের বাংলাদেশ ব্যাংকের সতর্কতা

0
167

ক্রিপ্টো কারেন্সি  ব্যবহারে ফের বাংলাদেশ ব্যাংকের সতর্কতা

ইন্টারনেটে ক্রিপ্টোকারেন্সি একটা পরিচিত শব্দ। ক্রিপ্টো কারেন্সি কোনো কাগজের টাকা বা কয়েন এর মতো নয় , এটি ভার্চুয়াল, এটা খুব সহজে অনলাইন একাউন্ট বা ডিজিটাল ওয়ালেটে সঞ্চয় করে রাখা যায় , ক্রিপ্টোকারেন্সির মাধ্যমে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে অনলাইন শপিং হয়ে থাকে। এই কারেন্সি কোনও সরকার বা রাষ্ট্র উৎপাদন বা সরবরাহ করে না। অন্য সব মুদ্রার মত কোনও সরকার বা ব্যাঙ্কিং কর্তৃপক্ষ একে নিয়ন্ত্রণও করতে পারেন না| সারা বিশ্বেই সমান্তরাল ভাবে এটিকে ব্যবহারকরা যায়| এবং পৃথিবী তে ছড়িয়ে থাকা নেটওয়ার্ক দিয়ে এটা পরিচালনা করা যায়|

ক্রিপ্টো কারেন্সি বা বিটকয়েনসহ ভার্চুয়াল মুদ্রা ব্যবহার থেকে বিরত থাকতে আবারও নির্দেশনা দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। বৃহস্পতিবার (১৫ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রা নীতি বিভাগ এ সংক্রান্ত একটি নির্দেশনা দিয়েছে।

নির্দেশনাটি সব তফসিলি ব্যাংক, বৈদেশিক মুদ্রা লেনদেনে নিয়োজিত সব অনুমোদিত ডিলার (এডি) ব্যাংক, সব মোবাইল ব্যাংকিং ও ব্যাংক বহির্ভূত আর্থিক প্রতিষ্ঠানের প্রধান বরাবর পাঠানো হয়েছে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংক ২০১৭ সালে ভার্চুয়াল মুদ্রা হিসেবে বিটকয়েনসহ ইথেরিয়াম, রিপল ও লিটকয়েনের লেনদেন নিয়ে সতর্ক করেছিল। এসবের মাধ্যমে অর্থপাচারের শঙ্কাও করা হয়। একই বছরে গণমাধ্যমে পাঠানো বাংলাদেশ ব্যাংকের সতর্কীকরণ বিজ্ঞপ্তিও দেওয়া হয়, যাতে এর ব্যবহার থেকে সবাই বিরত থাকে।

বিটকয়েনসহ সব ধরনের ভার্চুয়াল মুদ্রা ব্যবহারে ফের সতর্ক করে নির্দেশনায় বলা হয়, এটি কোনো দেশের সার্বভৌম স্বীকৃতি নেই। কোথাও বৈধ কোনো নিয়ন্ত্রক সংস্থা এখনও ভার্চুায়াল মুদ্রার স্বীকৃতি দেওয়া হয়নি। ফাইন্যান্সিয়াল অ্যাকশন টাস্ক ফোর্স বা এফএটিএফ কর্তৃকও অনুমোদিত না এ মুদ্রা বা সম্পদ।

নির্দেশনায় বলা হয়, অনুমোদনহীন এসব ভার্চুয়াল মুদ্রার বিপরীতে কোনো আর্থিক দাবি স্বীকৃত নয়। এর লেনদেন বাংলাদেশ ব্যাংক বা কোনো নিয়ন্ত্রক সংস্থা অনুমোদন করে না। এ মুদ্রার দ্রুত দর ওঠানামা করায় আর্থিক ঝুঁকিও থাকে। এজন্য ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে এ মুদ্রায় লেনদেন বা কোনো ধরনের ব্যবসা পরিচালনা করা ইত্যাদি থেকে বিরত থাকতে বলা হয়।